ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হায়দ্রাবাদের পঞ্চম ম্যাচে মাঠে মুস্তাফিজ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
হায়দ্রাবাদের পঞ্চম ম্যাচে মাঠে মুস্তাফিজ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও ডেভিড মিলারের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব মুখোমুখি হয়েছে।

এ ম্যাচেও দলের স্ট্রাইক বোলার হিসেবে মাঠে রয়েছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজের।

 

নিজেদের মাঠ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ম্যাচটি শুরু হয়।

 

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাবের দলপতি ডেভিড ওয়ার্নার।

এ ম্যাচের মধ্যদিয়ে হায়দ্রাবাদ তাদের পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নেমেছে। এর আগে কলকাতা ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম দুটি ম্যাচেই হারের স্বাদ নেওয়া হায়দ্রাবাদ পরের দুটি ম্যাচেই জয় তুলে নেয়। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর সবশেষ গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষেও জয় তুলে নেয় মুস্তাফিজরা।

দলের হয়ে এর আগে খেলা চারটি ম্যাচেই দারুণভাবে সফল ছিলেন মুস্তাফিজ। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজের আইপিএল অভিষেক ম্যাচেই তুলে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। অন্য বোলাররা বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের কাছে নাকানি-চুবানি খেলেও মুস্তাফিজের বোলিংয়ে হিমশিম খেতে হয় ব্যাটিং নির্ভর দলটিকে। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন এবিডি ভিলিয়ার্স আর শেন ওয়াটসনকে।

পরের ম্যাচেও উজ্জ্বল ছিলেন কাটার মাস্টার। সাকিবের কলকাতার বিপক্ষে হায়দ্রাবাদ দুটি উইকেট তুলে নিলে সেখানে মুস্তাফিজের ছিল একটি উইকেট। ক্যারিবীয়ান তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে মাটিতে শুইয়ে দেওয়া দারুণ এক ইয়র্কারে উইকেটটি পেয়েছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন টাইগার এই পেসার।

নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমে জয় পাওয়া ম্যাচে মুস্তাফিজ একটি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে হারদিক পান্ডের স্ট্যাম্প উপরে দেন এই পেসার।

আর গুজরাটের বিপক্ষে মুস্তাফিজ যে বোলিং করেছেন তাতে বিশ্ব ক্রিকেট কাটার এই মাস্টারের প্রসংশায় পঞ্চমুখ। ১০ উইকেটের জয় পাওয়া ম্যাচে মুস্তাফিজ ছিলেন গুজরাটের আতঙ্ক। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় রবীন্দ্র জাদেজার স্ট্যাম্প ভেঙেছিলেন তিনি। দলের সবচেয়ে কিপটে বোলারও ছিলেন মুস্তাফিজ। কাটার, অফ-কাটার আর স্লোয়ারে গুজরাটের ব্যাটসম্যানদের কাছে রীতিমতো দুর্বোধ্য ছিলেন বাংলাদেশের এই পেসার।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, মইসেস হেনরিকস, ইয়ন মর্গান, দীপক হুদা, নোমান ওঝা (উইকেটরক্ষক), আদিত্য তারে, বিপুল শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, মুস্তাফিজুর রহমান, বারিন্দ্রার স্রান।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব একাদশ: মুরালি বিজয়, মানান ভোরা, শন মার্শ, নিখিল নায়েক (উইকেটরক্ষক), ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, আকসার প্যাটেল, মোহিত শর্মা, কাইল অ্যাবট, সন্দীপ শর্মা, রিশি ধাওয়ান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ২৩ এপ্রিল ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।