চট্টগ্রাম থেকে: আনামুল হক ও মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রাজশাহী কিংসকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৯০।
দু’জনই অর্ধশতক হাঁকান। ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস উপহার দেন নবী। রাজশাহী বোলারদের ওপর দিয়ে রীতিমতো ‘স্টিমরোলার’ চালান আফগান অলরাউন্ডার। ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৭ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে অপরাজিত থাকেন তিনি।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে আনামুলের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৫০। তাতে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার। তাকে সামিত প্যাটেলের তালুবন্দি করেন ফরহাদ রেজা।
শুক্রবারের (১৮ নভেম্বর) ম্যাচটিতে টস জিতে তামিমদের ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। হারের বৃত্ত (টানা চার ম্যাচ) থেকে বের হতে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না চিটাগং। অন্যদিকে, এক ম্যাচের বিরতিতে জয়ে ফিরতে মরিয়া স্যামি-সাব্বিররা।
শুরুতেই অধিনায়ক তামিমের (৫) উইকেট হারায় চিটাগং। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন উঠতি তারকা মেহেদী হাসান মিরাজ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিলেও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ। পঞ্চম ওভারে আবুল হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৯ বলে ৩৪ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৫৮ রানের মাথায় রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের গ্রান্ট এলিয়ট (৮)। মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জহুরুল ইসলাম। দশম ওভারে তাকে ফরহাদ রেজার ক্যাচে পরিণত করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার প্যাটেল।
সামিত প্যাটেল দু’টি ও একটি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবুল হাসান।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত শুরু পায় চিটাগং। কিন্তু, পরের চার ম্যাচেই হেরে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন তামিমরা। সবশেষ জয়ে ফেরার লক্ষ্যে ঘরের মাঠেই হারের স্বাদ পায় তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা-চিটাগং ম্যাচ দিয়ে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হয়। সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটসের দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে, তিন ম্যাচের দু’টিতে হেরে রাজশাহীর সামনেও ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। গত ৯ নভেম্বর নাটকীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের কাছে ৩ রানে হারের পর ঢাকার বিপক্ষে ছয় উইকেটের জয় তুলে নেয় ড্যারেন স্যামির দল। সবশেষ ১৩ নভেম্বরের ম্যাচটিতে বরিশাল বুলসের ১৯২ রানের জবাবে সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেও ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় রাজশাহী সমর্থকদের।
সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ ম্যাচে এক জয় ও চার হারে মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে চিটাগং। রান রেটে এগিয়ে থাকায় তিন ম্যাচে সমান দুই পয়েন্টে পাঁচে রাজশাহী। পাঁচ ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা ঢাকার সংগ্রহ ৮।
চার ম্যাচে ৬ পয়েন্টে দুইয়ে রংপুর রাইডার্স। সমান পয়েন্টে যথাক্রমে তৃতীয় স্থানে মুশফিকের বরিশাল (৫ ম্যাচ) ও চার নম্বরে মাহমুদউল্লাহর খুলনা (৪ ম্যাচ)। টানা চার ম্যাচেই হেরে তলানিতে মাশরাফির কুমিল্লা।
চিটাগং একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), ডোয়াইন স্মিথ, আনামুল হক (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মদ নবী, গ্র্যান্ট এলিয়ট, নাজমুল হোসেন মিলন, সাকলাইন সজিব, জহুরুল ইসলাম, ইমরান খান, তাসকিন আহমেদ।
রাজশাহী একাদশ: মুমিনুল হক, জুনাইদ সিদ্দিক, সাব্বির রহমান, ওমর আকমল, সামিত প্যাটেল, মিলিন্ডা সিরিবর্ধনে, ড্যারেন স্যামি (অধিনায়ক), নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, ফরহাদ রেজা, আবুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
এমআরএম