ঢাকা: চট্টগ্রাম পর্ব শেষে আবারো ঢাকায় ফিরছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রংপুর-রাজশাহী ম্যাচ দিয়ে ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ধাপের খেলা মাঠে গড়াবে।
এর আগে ঢাকা পর্ব-১ এ ১৩টি ম্যাচ হয়েছিল। এবার টুর্নামেন্টের বাকি সব ম্যাচই হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামে ছয় দিনে মোট ১১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল ৯ ডিসেম্বর।
ঢাকায় প্রথমপর্বে ব্যাট-বল হাতে দেশি ক্রিকেটাররা আধিপত্য দেখালেও, দ্বিতীয় পর্ব শেষে সে হিসেব কিছুটা বদলেছে। ব্যাট হাতে শীর্ষে দেশি তারকারা থাকলেও বল হাতে উইকেট নিয়ে শীর্ষে বিদেশি ক্রিকেটার।
ব্যাট হাতে শীর্ষে রয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ওপেনার মেহেদি মারুফ। ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৫ রান করা মারুফের ব্যাট থেকে এখন পর্যন্ত এসেছে দুটি হাফসেঞ্চুরি। ১৩টি ছক্কা আর ২৪টি বাউন্ডারি হাঁকানো এই মারকুটে ব্যাটসম্যান ৪০.৬৬ গড়ে, ১৫১.৫৫ স্ট্রাইকরেটে ৭ ম্যাচ খেলে করেছেন সর্বোচ্চ ২৪৪ রান।
ব্যাটিং তালিকায় দুইয়ে রয়েছেন বরিশাল বুলসের দলপতি মুশফিকুর রহিম। ২৩৬ রান করা মুশফিকের পরেই রয়েছেন তার সতীর্থ শাহরিয়ার নাফিস (২২৫)। ২২৩ রান নিয়ে তালিকায় চার নম্বরে চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর রাজশাহী কিংসের ওপেনার মুমিনুল হক ২১৬ রান নিয়ে রয়েছেন পাঁচ নম্বরে।
ব্যাট হাতে শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানই বাংলাদেশের হলেও বল হাতে শীর্ষে আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। চিটাগং ভাইকিংসে খেলা এই আফগান বল হাতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট। ৮ ম্যাচ খেলা এই ভাইকিংস তারকা ২৭ ওভার বল করে ১৬৬ রানের বিনিময়ে এই উইকেট তুলে নেন।
মোহাম্মদ নবীর পরেই আছেন বাংলাদেশের পেসার মোহাম্মদ শহীদ। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলা এই পেসারও নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। ৭ ম্যাচ খেলা ঢাকার এই বোলার ২৫.১ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৮১ রান। ১৩ উইকেট নিয়ে খুলনা টাইটানসের পেসার শফিউল ইসলাম রয়েছেন তিন নম্বরে। ১১ উইকেট করে নিয়ে চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছেন যথাক্রমে রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি এবং খুলনা টাইটানসের পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান।
সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় সমান পয়েন্টে দুইয়ে এক ম্যাচ কম খেলা মাহমুদউল্লাহর খুলনা। সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্টে তিনে ঢাকা। সমান পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে চিটাগং (আট ম্যাচ)।
সাত ম্যাচে পাঁচে থাকা বরিশালের সংগ্রহ ৬। সমান ম্যাচে মাত্র এক জয়ে তলানিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চার পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে অবস্থান করছে স্যামি-সাব্বিরের রাজশাহী কিংস (ছয় ম্যাচ)।
পাঠকদের জন্য ঢাকা দ্বিতীয় পর্বের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
২৫ নভেম্বর - রংপুর বনাম রাজশাহী (দুপুর দেড়টায় শুরু)
২৫ নভেম্বর - বরিশাল বনাম খুলনা (সন্ধ্যা সোয়া ৬টা)
২৬ নভেম্বর - কুমিল্লা বনাম ঢাকা (দুপুর ১টা)
২৬ নভেম্বর - খুলনা বনাম রাজশাহী (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
২৭ নভেম্বর - বরিশাল বনাম ঢাকা (দুপুর ১টা)
২৭ নভেম্বর - রংপুর বনাম চিটাগং (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
২৮ নভেম্বর - রংপুর বনাম রাজশাহী (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
২৯ নভেম্বর - কুমিল্লা বনাম বরিশাল (দুপুর ১টা)
২৯ নভেম্বর - চিটাগং বনাম খুলনা (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
৩০ নভেম্বর - রংপুর বনাম ঢাকা (দুপুর ১টা)
৩০ নভেম্বর - কুমিল্লা বনাম রাজশাহী (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
১ ডিসেম্বর - বরিশাল বনাম রাজশাহী (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
২ ডিসেম্বর - কুমিল্লা বনাম খুলনা (দুপুর দেড়টা)
২ ডিসেম্বর - ঢাকা বনাম চিটাগং (সন্ধ্যা সোয়া ৬টা)
৩ ডিসেম্বর - রংপুর বনাম বরিশাল (দুপুর ১টা)
৩ ডিসেম্বর - চিটাগং বনাম রাজশাহী (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
৪ ডিসেম্বর - কুমিল্লা বনাম রংপুর (দুপুর ১টা)
৪ ডিসেম্বর - ঢাকা বনাম খুলনা (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
৫ ডিসেম্বর - বিশ্রাম
৬ ডিসেম্বর - এলিমিনেটর ম্যাচ (দুপুর ১টা)
৬ ডিসেম্বর - কোয়ালিফায়ার-১ (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
৭ ডিসেম্বর - কোয়ালিফায়ার-২ (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা)
৮ ডিসেম্বর - বিশ্রাম
৯ ডিসেম্বর - ফাইনাল (সন্ধ্যা সোয়া ৬টা)
** ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি