মিরপুর থেকে: চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২৪ রান তুলেছে রংপুর রাইডার্স। গেইল-তামিমদের সামনে সহজ টার্গেটই বলা চলে।
শেষদিকে, ১৩ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন আনোয়ার আলী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন সৌম্য সরকার। এছাড়া মোহাম্মদ শাহজাদ ২১, মোহাম্মদ মিঠুন ১২, লিয়াম ডসন ১৩ ও শহীদ আফ্রিদির ব্যাট থেকে আসে ১৩।
বিপিএলের ৩০তম ম্যাচে এসে আবারো মুখোমুখি হয় চিটাগং ও রংপুর। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর দলপতি নাঈম ইসলাম। এ ম্যাচ দিয়ে একে অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন টি-টোয়েন্টির দুই মহাতারকা ক্রিস গেইল ও শহীদ আফ্রিদি।
বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। তবে ফর্মহীনতায় ভোগা এ ওপেনার লম্বা ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ২১ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শুভাশিষ রায়ের করা ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন।
দশম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে রংপুরকে চাপের মুখেই ফেলেন তাসকিন আহমেদ। মিঠুনের (১২) পর ওপেনার শাহজাদকেও (২১) বোল্ড করেন চিটাগং ভাইকিংসের পেস তারকা। ১২তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে মাঠ ছাড়েন নাঈম।
চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে আফ্রিদির ব্যাটে তাকিয়ে ছিল রংপুর। কিন্তু মাত্র ১৩ রান করে দলকে হতাশই করেন তিনি। ১৬তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আফগান অলরাউন্ডার নবী। ‘বুমবুম’ অাফ্রিদির পর লিয়াম ডসনকে (১৪) সাজঘরে পাঠান তিনি।
তামিমদের সামনে প্রতিশোধ নেওয়ার চ্যালেঞ্জও বটে! টুর্নামেন্টের প্রথম দেখায় (৯ নভেম্বর) ৯ উইকেটে হারের লজ্জায় ডুবেছিল চিটাগং। ওই ম্যাচটিতে ১২৫ রানের সহজ লক্ষ্যটা পাঁচ ওভার হাতে রেখেই টপকে যায় রংপুর।
এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলছেন গেইল। চিটাগংয়ের জার্সিতে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হবেন ক্যারিবীয় ‘ব্যাটিং দানব’। অন্যদিকে, ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন আফ্রিদি। নিজের নামে স্টেডিয়ামে উদ্বোধন করতে দেশে ফিরে যাওয়ায় রংপুরের সবশেষ ম্যাচে ছিলেন না পাকিস্তান আইকন।
আফ্রিদির অভাবটা ভালোই টের পায় নাঈম-সৌম্যর রংপুর। দু’দিন আগেই রাজশাহী কিংসের কাছে তারা ১২ রানে হেরে যায়। ঢাকা দ্বিতীয় পর্বে চিটাগংয়ের এটিই প্রথম ম্যাচ। গেইলকে পেয়ে তামিমের দল এখন আরো শক্তিশালী। গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৭৮ রানের দাপুটে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এদিকে, রোববারের (২৭ নভেম্বর) প্রথম ম্যাচটিতে মুশফিকের বরিশালকে চার উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। বরিশালের দেয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্যটা চার বল হাতে রেখে টপকে যায় ঢাকা।
সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে আট ম্যাচে চার জয় ও চার হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে চিটাগং। ১০ পয়েন্টে তিন নম্বরে এক ম্যাচ কম খেলা রংপুর। শীর্ষে উঠে আসা ঢাকার সংগ্রহ ছয় জয়ে ১২। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে নেমে গেছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটান্স।
আট ম্যাচে আট পয়েন্টে পাঁচে স্যামি-সাব্বিরের রাজশাহী। সমান ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্টে তলানিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা পাঁচ ম্যাচে হারের বৃত্তে থাকা বরিশাল (৯ ম্যাচে ৬) ছয়ে অবস্থান করছে।
চিটাগং একাদশ: ক্রিস গেইল, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), আনামুল হক (উইকেটরক্ষক), শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নবী, জহুরুল ইসলাম, সাকলাইন সজিব, শুভাশিষ রায়, জাকির হাসান, ইমরান খান, তাসকিন আহমেদ।
রংপুর একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন, নাঈম ইসলাম (অধিনায়ক), শহীদ আফ্রিদি, লিয়াম ডসন, সোহাগ গাজী, আনোয়ার আলী, আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন, মুক্তার আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
এমআরএম