নিলামের প্রাথমিক তালিকায় মোট ৭৯৯ জন ক্রিকেটার ছিলেন। সেখান থেকে মূল তালিকা ছেঁটে ৩৫১ জন করা হয়েছে।
চূড়ান্ত তালিকায় আফগানিস্তান থেকে রয়েছেন অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাই, মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ শাহজাদ, রশিদ খান ও দাওলাত জাদরান। এদের মধ্যে শাহজাদ ও রশিদ রয়েছেন সর্বোচ্চ বেজ প্রাইজের ৫০ লাখ ভারতীয় রুপিতে। আর আমিরাত থেকে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন চিরাগ সুরি।
মূল নিলামে মোট সাত জন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ দর পেয়েছেন। যার মধ্যে আছেন ভারতের পেসার ইশান্ত শর্মা, ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস ও ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়ন মরগান, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল জনসন ও প্যাট কামিন্স। এদের বেজ প্রাইজ রাখা হয়েছে দু’কোটি ভারতীয় রুপি।
দেড় কোটি রুপির প্রাইজে আছেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়ন ও ব্র্যাড হাডিন, দক্ষিণ আফ্রিকার কাইল অ্যাবট ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার।
এ বছরের আইপিএলের পরই আবার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
সেক্ষেত্রে ২০১৮তে মেগা নিলাম হওয়ার কথা। তাই বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিই এবার নিলামে বড় ভূমিকা নিয়ে নামবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ক্রিকেটারদের ধরে রাখার নিয়ম আইপিএলে চালু থাকবে কি না সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাই আশায় রয়েছে নিলামে ‘রাইট-টু-ম্যাচ’ বিকল্প থাকার। যে নিয়মে নির্দিষ্ট সংখ্যার ক্রিকেটারদের নিলামে ছাড়ার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে আবার সেই ক্রিকেটারদের কিনে নেওয়ার সুযোগ থাকে। তবে তার জন্য সেই ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ দর মেটানোর শর্ত পূরণ করতে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।
বাংলাদেশ তারকা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে অবশ্য আগেই রেখে দিয়েছে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তাদের সঙ্গে পূর্বের চুক্তি রয়েছে। সাকিবের ওপর এবারও ভরসা রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তো মোস্তাফিজকে ছাড়বে না সেটা জানা কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস