মুম্বাইয়ে ঘণ্টায় ৩০০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারের মাধ্যমে মুম্বাইয়ের জনগণকে নিরাপদ স্থানে অবস্থানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মুম্বাইয়ের নিচু জায়গায় অর্থাৎ বস্তি এলাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। নোংরা পানি বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকেছে। খাবার পানির সমস্যায় হাজার হাজার মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি তুলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন টেন্ডুলকার।
নিজের ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করে মাস্টার ব্লাস্টার টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘নোংরা পানি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ভেবে দেখুন পরিস্থিতিটা কি ভয়াবহ। শিবাজি নগরের মানুষগুলো ভয়াবহ সময় পার করছে। এই কঠিন মুহূর্তে তাদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছি। ’
মুম্বাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাভিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মুম্বাইবাসীকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সেবা বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
২০০৫ সালের পর ভারী বৃষ্টিপাতে মুম্বাইবাসীকে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। ২০০৫ সালের পর এটাই শহরে সব থেকে ভারী বৃষ্টিপাত বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। সাধারণত মুম্বাইয়ে প্রতি বছর যা বৃষ্টি হয়, তার দশ গুণ বৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি জমে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় আটকে পড়েছে অসংখ্য যানবাহন। ওলটপালট হয়ে গেছে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা।
শহরটির স্কুল-কলেজসহ সব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। বৃষ্টির জেরে বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে মুম্বাই বিমানবন্দরে। বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। অতি বৃষ্টিতে পানি ঢুকে গিয়েছে পারেলের কেইএম হাসপাতালে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৫ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি