দারুণ ছন্দে ছিল রাজস্থান রয়্যালস। ১৫তম ওভার শেষে জয়ের জন্য ৩০ বলে ৩৯ রানের মামুলি লক্ষ্যই ছিল স্টিভেন স্মিথদের সামনে।
আসরের ৩০তম ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা দিল্লি নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করতে পারে।
১৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই নিজেদের দিকে পাল্লা ভারী করে রেখেছিল রাজস্থান। দুই ওপেনার বেন স্টোকস ও জস বাটলার ছিলেন আক্রমণাত্মক। তবে দেশপান্ডের কারণে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি স্টোকস। ৩৫ বলে ৬টি চারে ৪১ করে তিনি বিদায় নেন। আর বাটলারকে (৯ বলে ২২) বোল্ড করেন নরকিয়ে। মাঝে অধিনায়ক স্মিথ মাত্র ১ রান করে অশ্বিনের শিকার হন।
মিডঅর্ডারে সঞ্জু স্যামসন ও উথাপ্পা দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। তবে ১৮ বলে ২৫ রান করা স্যামসন অক্ষর প্যাটেলের বলে বিদায় নেন। শেষ দিকে উথাপ্পাকে নরকিয়ে ব্যক্তিগত ৩২ রানে বোল্ড করলে আশা প্রায় শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। ১৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত তেওয়াটিয়া আর বেশিকিছু করতে পারেননি।
দিল্লির বোলারদের মধ্যে দেশপান্ডে ও নরকিয়ে ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া রাবাদা, অশ্বিন ও প্যাটেল একটি করে উইকেট দখল করেন।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জোফরা আর্চারের তোপে পড়ে দিল্লি। ওপেনার পৃথ্বী শ’ (০) ও আজিঙ্কে রাহানে (২) দ্রুতই এই ইংলিশ বোলারের দাপটে ফেরেন। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৫ রান তুলে বিপর্যয় সামাল দেন শিখর ধাওয়ান ও শ্রেয়াস আইয়ার। ধাওয়ান ৩৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৭ করেন। আর ৪৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় আইয়ারের ব্যাট থেকে ৫৩ রান আসে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে দলটি।
দারুণ বোলিং করা আর্চার ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। জয়দেব উনাদকাট ২টি উইকেট নেন। এছাড়া কার্তিক ত্যাগী ও শ্রেয়াস গোপাল একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান অ্যানরিচ নরকিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এমএমএস