২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ছিল ঘরের মাঠে। সামান্য ইনজুরির কারণে সেই বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
তখন ক্রিকেটমহলে ছড়িয়ে পড়েছিল, সাকিব আর তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্স মিলেই মাশরাফিকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শল্যবিদ ডেভিড ইয়ং মাশরাফিকে খেলার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাদ পড়ার খবর শুনে মিরপুর একাডেমি মাঠে মাশরাফির অঝোরে কান্না ছুঁয়ে গিয়েছিল সারা দেশকে। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে সিডন্স আর সাকিব তখন রীতিমত ভিলেনে পরিণত হয়েছিলেন।
তবে লড়াকু মাশরাফি ঠিকই দলে ফিরেছিলেন। ততদিনে সিডন্স অতীত, সাকিবের অধিনায়কত্বও শেষ। শুধু ফেরাই নয়, বলের গতি কমে গেলেও মাশরাফি সুইংয়ের ফাঁদ পেতে ধরেছেন একের পর এক উইকেট। এরপর দলের নেতৃত্বও যায় তার হাতে। এনে দেন বহু সাফল্য। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০১৫ সালে পায় ওয়ানডেতে সেরা সব সাফল্য।
২০১১ সালেই চাকরি গিয়েছিল জেমি সিডন্সের। ১১ বছর পর তিনি আবারও ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে। গতকাল সিলেটে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে মাশরাফির। হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময়। সেই খবর জানিয়ে ফেসবুকে মাশরাফি লিখেছেন, '২০১১ এর কষ্ট তোমাকে দেখে ভুলে গিয়েছি জেমি। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ক্রিকেট এ পর্যন্ত আসার পেছনে যাদের অবদান আছে তুমি তাদের ভেতর অন্যতম। '
মাশরাফি আরও লিখেছেন, 'আমি হয়তো টিমে আর আসব না। তবে তোমার জন্য শুভকামনা। তোমার প্রতিটি শিক্ষা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বয়ে আনুক নতুনত্ব হয়ে উঠুক আনন্দময়। তোমার প্রতি অগাধ আস্থা রেখেই বলছি। সামাজিক দুরত্বে থেকে তোমার প্রতি ভালোবাসা। বাংলাদেশও তোমাকে ভালোবাসে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
এমএইচএম