ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চেতনা অনুভবের বিষয়: চসিক মেয়র 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
চেতনা অনুভবের বিষয়: চসিক মেয়র  ...

চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশকে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত ও ভূটান। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধরত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সরকার এবং বাঙালি জাতিকে ভারতের এই ঐতিহাসিক স্বীকৃতি এক বিশাল উদ্দীপনায় উজ্জীবিত করেছিল।

এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৈধতা দিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ত্বরান্বিত করেছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি-চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’শীর্ষক আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবিরের ‘দুঃসময়ের বন্ধু’চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের ১ কোটি সহায়সম্বলহীন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠিত করেছে। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১৭ হাজার সদস্য শহীদ হয়েছেন। অন্য কোনও দেশকে স্বাধীন করার জন্য এ ধরনের আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির অন্যতম কারণ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের প্রতি দুই দেশের অঙ্গীকার। রক্তের বন্ধনে রচিত এই বন্ধুত্ব শত প্রতিকূলতার ভেতরও অটুট রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে কোনও ছাড় নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, চেতনা অনুভবের বিষয়, এটি দেখা ও লেখা যায় না কিন্তু হৃদয়ে অনুভব করা যায়। এই অনুভূতির মানুষগুলি সংখ্যালঘু হলেও তাঁরাই সত্যিকারার্থে চেতনাকে লালন করেন। তাঁরাই আমাদের শক্তি। সাময়িক লাভালাভের জন্য চেতনাবিরোধী মানুষকে দলবদ্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সবসময়েই ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি বহুধাবিভক্ত।

সংগঠনের ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সদস্য সচিব শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্মূল কমিটি-নিউইয়র্কের সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া, চবি শিক্ষক প্রফেসর ড. আলা উদ্দিন, কাউন্সিলর গাজী শফিউল আজিম, চলচ্চিত্র নির্মাতা শৈবাল চৌধুরী।  

সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. হেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান তারেক, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, এম.এ মান্নান শিমুল, হামিদ হোছাইন, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দিন, রুবেল চৌধুরী, রাজীব চৌধুরী রাজু, সুচিত্রা গুহ টুম্পা, কানিজ ফাতেমা লিমা, অথৈ মজুমদার অনিন্দ্য, হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, দেবাশীষ আচার্য্য, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মো. সাজ্জাদ উদ্দিন, আবু তৈয়ব সোহেল, আজমীরুল ইসলাম, মো. জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, জাফর আহমদ, মো. রিদুয়ান চৌধুরী, মো. হুমায়ুন ছগীর, জাহেদুল আলম মুরাদ, রিমা আকতার, রোকসানা দিতি, মুক্তা আহমেদ, টুটুল দাশ, শুভ দাশ, জীবন দাশ, উজ্জ্বল দাশ, শ্যামল ভট্টাচার্য্য, মোস্তফা কামাল চৌধুরী, ছলিম উল্লাহ, রিনা বেগম, রিনা, মোহাম্মৎ রেশমী আকতার, মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী জীবন, শওকত ওসমান তানজির প্রমুখ।  

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শাহরিয়ার কবির নির্মাণ করেছিলেন ‘দুঃসময়ের বন্ধু’। এই প্রামাণ্যচিত্রের মূল উপজীব্য-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।