ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিককে হামলা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
সাংবাদিককে হামলা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হামলার শিকার সাংবাদিক আবু আজাদ

চট্টগ্রাম: রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ইসলামপুর ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) হামলার শিকার হন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ করেসপনডেন্ট আবু আজাদ। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

 

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিক আবু আজাদ বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় আসামি করা হয়েছে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), ইটভাটার ম্যানেজার কামরান (৩০), মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির (৩০)।

এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন রাঙ্গুনিয়া  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী।

মামলার অভিযোগ করা হয়, সংবাদ সংগ্রহ করতে রোববার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের মঘাছড়িতে সড়কের পাশে মাটি তুলে নামহীন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় মেম্বার মহিউদ্দীন তালুকদার (মোহন) ৫ থেকে ৬ লোক নিয়ে এসে আমার মাথা পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে। এরপর আমাকে একটি সাদা রংয়ের নোহা গাড়িতে তুলে নিয়ে মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রকাশ্যে আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও মারধর করে। আমার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড কেড়ে নেয় তারা। মারধরের একপর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোন দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আমার পরিচয় জানার পর তিনি আমাকে বলেন, এরকম সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছু হবে না। এরপর আমার মোবাইল দিয়ে গুগল ড্রাইভে ঢুকে সব ছবি-ভিডিও ডিলেট করে দেয় এবং মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলে। পরে পকেটে মারধরকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করে দেখাতে বলে শাঁসান।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুব মিলকী বলেন, ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক আবু আজাদকে জিম্মি ও মারধরের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।