ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ড. অনুপম সেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ড. অনুপম সেন ...

চট্টগ্রাম: ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মুক্ত করবো দেশ, গড়বো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ’ এ প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রামের সম্মেলন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীদের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।

প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ।

 

সম্মেলন উদ্বোধন করেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব এর শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আবদুল মালেক খান, সম্মেলনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশি। বক্তব্য দেন মো. নাজিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, রাজিব চন্দ, রঘুনাথ মজুমদার, ছাত্রনেতা আবু বক্কর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের নেতা ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া ও ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী।

প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতা। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা। জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অশুভ চক্র মুক্তিযুদ্ধের রক্ত রঞ্জিত সব অর্জন লুণ্ঠন ও ইতিহাসের যাত্রাপথ রুদ্ধ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত ও মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের পরিকল্পিত পুনর্বাসন করা হয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি আজও আবার নতুন আঙ্গিকে সরব হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় রুখে দাঁড়াতে হবে।  

প্রধান বক্তা এম এ সালাম বলেন, তথাকথিত তারুণ্যের সমাবেশের নামে চট্টগ্রামে যারা পরিকল্পিত সন্ত্রাস, নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেছে সেইসব বিপথগামী তরুণ যুবকদের পেছনের মদদদাতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হবে। অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার তাদের অপকর্ম জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

বিশেষ অতিথি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যারা থামিয়ে দিতে চায় তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।  

উদ্বোধক বেদার বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতকে আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।  

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিত্রমে আবদুল মালেক খানকে সভাপতি, অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশিকে নির্বাহী সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৬৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।