ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ চান শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ চান শিক্ষকরা

চট্টগ্রাম: সরকার শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু সেটি শিক্ষার মানোন্নয়নের চেয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক গ্রামে সরকারি স্কুলে মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে তাদের পাঠদান করানো হচ্ছে। সেখানে ব্যাপক শিক্ষক সংকট।
সেদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজর নেই। আছে শুধু অবকাঠামো গত উন্নয়নের দিকে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কর্তৃক মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।  

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার আগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে আগামী ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারাদেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে নেতারা বলেন, দেশের  নব্বই শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পায়। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই অ্যাকাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়।  

তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয়করণের ঘোষণাসহ প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়নি। বরং বিগত বাজেটের চেয়েও আনুপাতিক হারে কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক  বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু তনয়া শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন।  

এমতাবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন, শিক্ষায় বিনিয়োগে ইউনেস্কো-আইএলও’র সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নসহ সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের  চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি বীর  মুক্তিযোদ্ধা  সৈয়দ লকিতুল্লাহ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শিক্ষক সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক শিমুল কান্তি মহাজন, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি নুরুল হক সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী, উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো.  জাকের হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।