ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেষ সময়ে মৌসুমি পণ্যের কদর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
শেষ সময়ে মৌসুমি পণ্যের কদর ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস কাটার জন্য প্রয়োজন গাছের গুঁড়ি। গাছের গোড়ার দিকের ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি উচ্চতার গোলাকার এই টুকরোগুলো অঞ্চলভেদে খাইট্টা, কাইটে, শপার ও হাইজ্যা নামে পরিচিত।

 

এর বাইরে মাংস কাটার কাজে বাঁশ ও প্লাস্টিকের তৈরি লাই -ঝুড়ি বা খাড়েং, বাঁশের তৈরি মাদুর এবং খড়েরও প্রচুর ব্যবহার হয়। তাই কোরবানির ঈদ ঘিরে বেড়েছে এসব মৌসুমি পণ্যের কদর।

বুধবার (২৮ জুন) নগরের আতুরার ডিপো, দেওয়ান হাট, চকবাজার, বহাদ্দারহাট, নিউমার্কেট, কাটগর, বাকলিয়া, আগ্রাবদ সহ বেশ কিছু এলাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এসব সামগ্রী।  

গাছের গুঁড়ি
গাছের গুঁড়ি তৈরি হয় বিশেষ কিছু গাছ দিয়ে। সবচেয়ে বেশি গাছের গুঁড়ি হয় তেতুল গাছ দিয়ে। তেতুল গাছের গুঁড়ি বিক্রি হয় দেড়শ থেকে তিনশ টাকায়। এর বাইরে কাঁঠাল গাছ দিয়েও তৈরি হয় এই মৌসুমি পণ্য। তবে গোদা গাছ  তুলনামূলক বেশি শক্ত হওয়ায় এই গাছের গুঁড়ি দামও তুলনামূলক বেশি। চট্টগ্রামে গোদা গাছের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। তবে এ ধরনের গাছের গুঁড়ি সাধারণত কসাইরা কিনে থাকেন।

সাধারণত শক্ত গাছ দিয়ে এসব গাছের গুঁড়ি তৈরি হয়। কারণ পশুর হাড় কাটতে গাছ তুলনামূলক নরম হলে দা বা ধামার আঘাতে গাছের গুঁড়ি লেগে মাংস নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু তেতুল, কাঁঠাল বা গোদা গাছ তুলনামূলক শক্ত। দা বা ধামার কোপে এসব গাছের গুঁড়ি উঠে না, তাই মাংস পরিষ্কার থাকে।

বাঁশের তৈরি মাদুর
কোরবানির মাংস কাটার আরেকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের নাম বাঁশের তৈরি মাদুর। এই মাদুরে পশু জবাইয়ের পর মাংস রাখা হয়। চট্টগ্রামের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এসব মাদুর বিক্রি করছেন আকারভেদে দুইশ থেকে এক হাজার টাকায়। কোরবানির পশুকে খাওয়ানো ও মাদুরের নিচে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় খড়ের। নগরে দুই থেকে চার কেজি ওজনের প্রতি আঁটি খড় বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এর বাইরে জবাই করা পশুর মাংস বাহির থেকে বাসায় নিতে প্রয়োজন হয় লাই বা খাড়াংয়ের। বাঁশ ও প্লাস্টিকের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায়।  

নগরের দেওয়ানহাটের মৌসুমি ব্যবসায়ী রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ৫০০টি খাড়াং এনেছি, এরমধ্যে দুইশতাধিক বিক্রি হয়ে গেছে। পাইকারিতে একশ থেকে আড়াইশ টাকায় এসব খাড়াং সংগ্রহ করি। তাছাড়া পরিবহন খরচও আছে। এসব খাড়াং আকার অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করি। এর বাইরে বাঁশের তৈরি পণ্যগুলো অগ্রীম অর্ডার করে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি।

নগরের চকবাজার এলাকায় গাছের খাড়াং, লাই ও খড় কিনতে আসা আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি কোরবানির ঈদে এসব পণ্য কিনতে হয়। কিন্তু খাড়াং দুই বছর অন্তর কিনি। একটা দিয়ে দুই বছর চলে যায়। তবে খড়, লাই, মাদুর এসব প্রতিবছর কিনতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।