ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানি পেঁয়াজ ঢুকলো খাতুনগঞ্জে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
পাকিস্তানি পেঁয়াজ ঢুকলো খাতুনগঞ্জে

চট্টগ্রাম: পাকিস্তান থেকে চার দফায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকেছে ২৩৪ টন পেঁয়াজ। মূলত দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলে, সরবরাহে সংকট দেখা দিলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে জাহাজে কনটেইনারে ভরে পেঁয়াজ করা আমদানি হয়।

সারা বছর দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের বাইরে ঘাটতি পূরণ করা হয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। স্থলবন্দর দিয়েই ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে ঢোকে।
 

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা পাকিস্তানি পেঁয়াজ দুই দিন আগে ঢাকার বাজারে ঢুকলেও চট্টগ্রামের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে ঢুকেছে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর)।  

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, আড়তে প্রতিকেজি পাকিস্তানি পেঁয়াজ আজ ৪২-৪৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি ও আকারে ছোট হওয়ায় চট্টগ্রামে চাহিদা কম। গৃহস্থ পর্যায়ে পেঁয়াজের চাহিদার বাইরে চট্টগ্রামে মেজবান, বিয়েশাদি, ওরস আর খাবারের হোটেলেই পেঁয়াজের চাহিদা বেশি।  

একজন আড়তদার বাংলানিউজকে জানান, পেঁয়াজের বাজারে ক্রেতা কম। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ঢুকেছে বাজারে। আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে। কস্টিং প্রাইস, লোকাল মার্কেটে দামের গতি ইত্যাদি বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি করবেন সংশ্লিষ্টরা। সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করবে পেঁয়াজের বাজারদাম।  

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা পেঁয়াজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের উপ পরিচালক মো. নাছির উদ্দীন সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে জানান, এ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রথম চারটি পেঁয়াজের চালান এসেছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। প্রতি চালানে পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এসেছে প্রায় ৫৮ টন করে। পাইপলাইনে আরও পেঁয়াজ আছে।  

এ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তুর্কি ও পাকিস্তান থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৬০৯ টন, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৫৫৫ টন, জুলাইতে ১ হাজার ২৫৬ টন, আগস্টে ৮৪৭ টন, সেপ্টেম্বরে ১১৭ টন, অক্টোবরে ১ হাজার ৪৬২ টন পেঁয়াজ এসেছিল।  

সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। এতে বাংলাদেশের বাজারে বেড়েছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। তাই গত ২৪ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয় দেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত ছাড়াও ৯ দেশ থেকে  আমদানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- চীন, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর মধ্যে চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, মিশর থেকে  ৩ হাজার ৯১০টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার ২০০ টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪ টন ও ইউএই থেকে ৩ টনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতে শুল্ক আরোপের খবরে খাতুনগঞ্জের আড়তে একদিনের ব্যবধানে গত ২০ আগস্ট কেজিপ্রতি দাম বেড়েছিল ১৫-১৮ টাকা। এক দিন আগে ভারতের যে পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি হয়েছিল ৪৫ টাকা মানভেদে তা ৫৮-৬২ টাকা বিক্রি হয়। কোনো কোনো আড়তে হাঁকা হয় ৬৫ টাকা। খুচরা মুদির দোকানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৬৫-৭০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।