ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক ...

চট্টগ্রাম: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শৈশব থেকে মা-বাবা কিংবা শিক্ষক সবাই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন পাবলিক সার্ভিস হোল্ডার বা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

একজন উদ্যোক্তা অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। আর অন্যদিকে একজন চাকরিজীবী সর্বোচ্চ একটা পরিবারের দায়িত্ব নেয় মাত্র।
তাই নতুন প্রজন্মকে ইনোভেটিব ও স্মার্ট হওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে সমাজে ভূমিকা রাখতে হবে।

রোববার (১ অক্টোবর) নগরের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের মাহসা আমিনী ক্যাম্পাসের কনফারেন্স হলে স্টার্টআপ কমপাস ইউনিভার্সিটি অ্যাকটিভেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় আমরা ডাক বিভাগের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করতাম। সময় লাগত ২ থেকে ৩ দিন। ২০১০ সালে ছোট আকারে যাত্রা শুরু করে বিকাশ ইনিশিয়েটিভ। মাত্র ১২ বছরের পথচলায় বিকাশ এখন বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে শুধু কম সময়ে ও নিরাপদে টাকা আদান-প্রদানের সুন্দর সমাধান হয়েছে তা নয়, এর বদৌলতে হাজারো লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। একটি মাত্র ইনোভেটিব এবং ক্রিয়েটিভ সলিওশান কীভাবে বৃহত্তর সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি বিশাল একটা জনগোষ্ঠীর কর্মক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে এটি তার উত্তম উদাহরণ। তাই শিক্ষার্থীদের অনুপ্রণিত করতে এখানে আমরা ইনোভেশান, ডিজাইন এবং এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ একাডেমি স্থাপন করছি। স্টার্টআপ কম্পাসকে সফল করতে হলে ফান্ডিং, ট্রেনিং, ইনকিউবেশন ও নেটওয়ার্কিং-এ ৪টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করেছি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি তোমার একটি সৃজনশীল মন থাকে তবে তুমি তোমার সৃজনশীল ধারণা দিয়ে যেকোনো সমস্য সমাধান করতে পারবে। সব সমস্যাকে তুমি একা সমাধান করতে চেষ্টা করো না। বিশ্বের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি যৌথ প্রচেষ্টা ও অর্থায়নের কারণে সফল হয়েছে। সুতরাং যৌথ প্রচেষ্টা ও অর্থায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩০টি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। যেমন শপআপ, চালডাল, পাঠাও, টেন মিনিটস স্কুল ইত্যাদি।  

এ সময় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হকের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য ড. ডেভিড টেইলর ও ড. মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭55 ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।