ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আদালতে হাজিরা দিতে এসে করতো মোটরসাইকেল চুরি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
আদালতে হাজিরা দিতে এসে করতো মোটরসাইকেল চুরি!

চট্টগ্রাম: চুরির একাধিক মামলার আসামি রিপন। আইনজীবীর সঙ্গে মামলা বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া ও মামলার আপডেট জানতে আসতেন আদালত ভবন এলাকায়।

নিয়মিত চুরির মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় মাস্টার চাবি দিয়ে দ্রুত সময়ে লক খুলে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যেতেন রিপন। অবশেষে রিপন সহ এ মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুমিল্লা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, পটিয়া থানার কোলাগাঁও সিরাজশাহ মাজার বাড়ীর আব্দুল আলীমের ছেলে মো. রিপন (৩২), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ডিমাতলী এলাকার মৃত মনু মিয়া আব্দুল কাদের জিলানী প্রকাশ অভি (২৬) ও কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার মাতারবাড়ী মনহাজীর পাড়া আনছারের বাপের বাড়ির মো. মোস্তাকের ছেলে সজিবুল ইসলাম (২১)।  

কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্তবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে মেরিনার্স রোড এলাকা থেকে চোর চক্রের মূলহোতা মো.রিপনকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করা হয়। রিপন চোরই মোটরসাইকেলগুলো কুমিল্লার আব্দুল কাদের জিলানী প্রকাশ অভি ও কক্সবাজারের মহেশখালী সজিবুল ইসলাম কাছে বিক্রি করে। অভি থেকে আটটি ও সজিব থেকে চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার রিপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে। সেই মামলাগুলোর হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম আদালতে আসতেন নিয়মিত। আদালতের কাজ শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে কোর্ট বিল্ডিং এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লক করা মোটরসাইকেল বিশেষ কায়দায় তৈরি মাস্টার চাবি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে লক খুলে চুরি করে নিয়ে যেত। কক্সবাজারের সজিবুল ইসলামের কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি করে আসার সময়, সেইখান থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে আসে। সেটি আবার কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানীর কাছে বিক্রি করে। মূলত রিপনই মোটরসাইকেল চুরি করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কম দামে বিক্রি করে দিতেন।  

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, রিপনের যতবারই মামলায় চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা দিতে আসতেন সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল চুরি করে কম দামে অভির কাছে বিক্রি করতেন। কুমিল্লা থেকে আসার পথে মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডের হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে থাকা বিভিন্ন বিক্রয় প্রতিনিধির মোটরসাইকেল চুরি করে মহেশখালী নিয়ে সজিবের কাছে কম দামে বর্ডার ক্রস বলে বিক্রি করতেন। রিপনের কাছ থেকে একটি মাস্টার চাবি পেয়েছি। মূলত যেসব মোটরসাইকেল কম দামি ও লক দুর্বল সেগুলোই তার টার্গেট ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।