ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বঙ্গবন্ধু টানেলের সুফল শুধু বন্দর নয়, সারা দেশ পাবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
‘বঙ্গবন্ধু টানেলের সুফল শুধু বন্দর নয়, সারা দেশ পাবে’ ...

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু টানেলের সুফল শুধু বন্দর নয় সারা দেশ ভোগ করবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।  

রোববার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ইক্যুইপমেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

বন্দরের এনসিটি বার্থে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।

উদ্বোধন করা ইক্যুইপমেন্টের তালিকায় রয়েছে- ২০২২ সালে সংগ্রহ করা ২৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ৪টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ৬টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ২টি কনটেইনার মোভার।

২০২৩ সালে সংগ্রহ করা ১৪ কেটি ১৩ লাখ টাকার ৪টি রিচ স্টেকার, ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ৪টি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, ২০২১ সালে সংগ্রহ করা ২০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন, ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ৫০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বাজার অর্থনীতিতে পদার্পণ করেছে কয়েক যুগ আগে। বাংলাদেশ এখন গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। বাংলাদেশের সক্ষমতা কোথায় গেছে আমরা সমগ্র বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবী জেনেছে যে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা কোথায় গেছে। আমরা মেরিটাইম সেক্টরে জানিয়ে দিতে চাই যে আমাদের সক্ষমতা কোথায়। আমরা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর করছি, পায়রা বন্দর করেছি, মোংলা বন্দর আপগ্রেডেশন করছি, বে টার্মিনালের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কী ধরনের যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য ওঠানামা করা হচ্ছে। এগুলো আমাদের সক্ষমতা। এ সক্ষমতা আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। আমরা দেশ-বিদেশ নয়, আমরা বিশ্বের সঙ্গে থাকতে চাই। বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায় আমরা তাদের স্বাগত জানাব। এটাই হচ্ছে সরকারের নীতি।  

বন্দরের এনসিটি ও পিসিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কাছে অনেক বিনিয়োগ প্রস্তাব আছে। যারা বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান তারা আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা চট্টগ্রামের স্বার্থ, চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থ এবং দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আমরা তাদের সঙ্গে এ কার্ক্রমে একত্রিত হবো।  

তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী নৌ পরিবহন খাতের ওপর এগিয়ে যাচ্ছে। আর সমগ্র পৃথিবী জয় করার একমাত্র জায়গা হচ্ছে মেরিটাইম। অতএব মেরিটাইমকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বা উন্নত বাংলাদেশ সম্ভব নয়। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেরিটাইমের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য ব্যাপক জোর দিয়েছেন। একদম ম্যানপাওয়ার থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু। আমাদের সমুদ্র আজকে অবারিত। কোথাও কোনো বাধা নেই। এটা সম্ভব হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই অবারিত সমুদ্রপথেই সমগ্র পৃথিবী আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছে। আমাদের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য করতে চাইছে। এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার কারণে। তারই একটি অংশ হচ্ছে টানেল। এটা পদ্মা সেতুর মতো আমাদের গর্ব ও অহংকারের জায়গা আরও বাড়িয়ে দেবে। যেহেতু টানেল চট্টগ্রামে, নদীর এপাড় থেকে ব্যবসা ওপাড়ে চলে যাবে। এর সুফল শুধু বন্দর কেন সমগ্র দেশবাসী ভোগ করবে।  

প্রতিমন্ত্রী সকালে চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (এনএমআই) ২৫তম ও এনএমআই মাদারীপুরের ১৪তম ব্যাচের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বন্দরে ইক্যুইপমেন্ট উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিম্যুলেটর উদ্বোধন করেন এবং বন্দর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মেজবানে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।