ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা সেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
সাবেক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা সেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিরুদ্ধে রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারী মামলা করেছিলেন। এ মামলায় গত ৩ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করেন।

কিন্তু থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখন সেই মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বাদী।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এই আবেদন করা হয়।  

আদালতে  বেঞ্চ সহকারী ওসমান গণি বাংলানিউজকে বলেন, রনি আক্তার তানিয়া আজ (সোমবার) আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন।  

আদালাত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক (ডিডি) পদ থেকে অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধের জের ধরে গত গত ২৯ আগস্ট ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক ব্যক্তি। তবে শহীদুল্লাহর পরিবারের দাবি, রনি আক্তার তানিয়া নামের কেউ তাঁদের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন না। তাঁদের দাবি, হয়রানি করতেই প্রতিপক্ষের লোকজন বাদীকে দিয়ে মিথ্যা মামলাটি করিয়েছিলেন। আদালত মামলার শুনানি শেষেেআদালতের বিচারক ওইদিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে দেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় নেওয়ার পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে কয়েকঘণ্টার মধ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর মৃত্যু হয়।  

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, রনি আক্তার তানিয়া শহীদুল্লাহর বাড়িতে গত জানুয়ারি থেকে গৃহকর্মী হিসেবে তিন হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। ঠিকমতো প্রথম দুই মাস বেতন দিলেও মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত তাঁর বেতন বকেয়া ছিল। গত ১২ আগস্ট বকেয়া টাকা চাইলে ওই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন শহীদুল্লাহ। ২৩ আগস্ট রাতে বকেয়া বেতন চাইতে গেলে শহীদুল্লাহ তানিয়াকে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে তাঁর শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ার তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রনি আক্তার তানিয়া মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আদালতে মামলা প্রত্যাহের বিষয়ে জবানবন্দিও দিয়েছেন। তিনি আদালতকে মামলাটি চালাতে ইচ্ছুক না বলে জানিয়েছেন। পরে আদালত আগামী ৩০ অক্টোবর ধার্য দিনে এই বিষয়ে শুনানির জন্য রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫  ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।