ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বড় দুঃখ হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো র‍্যাংকিংয়ে নেই: চবি উপাচার্য

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
বড় দুঃখ হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো র‍্যাংকিংয়ে নেই: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বড় দুঃখ হয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কোনো র‍্যাংকিংয়ে নেই। কেন নেই? আমি খুব চেষ্টা করেছি।

কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছি না। তবে ইনশাআল্লাহ আগামী দু-এক বছরের মধ্যে আমরা র‍্যাংকিংয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
সেই জায়গায় আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। অ্যালামনাইরা চাইলে অনেককিছু পারে। বিদেশের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় চলে। আপনারা অনেক ভালো ভালো জায়গায় আছেন, ধনাঢ্য ব্যক্তিরা আছেন, হৃদয়বান ব্যক্তিরা আছেন। আপনারা এগিয়ে আসবেন, এটা আপনাদেরই বিশ্ববিদ্যালয়।

৫০ বছর পূর্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দর্শন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা দিনব্যাপী চবির জারুলতলায় পালিত হয় এ সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১৬ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।  

সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, পৃথিবীর অগ্রগতিতে সাহিত্য ও দর্শনের অনেক ভূমিকা রয়েছে। এরিস্টটল, সক্রেটিস থেকে শুরু করে সব দার্শনিকরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। পৃথিবীর মানুষ দর্শন ও দার্শনিকদের কাছে ঋণী। দর্শনের আবিষ্কার ও চেতনায় মানব সমাজ এগিয়েছে অনেক দূর। যদি কেউ নিজে আলোকিত হতে চায়, দেশ ও সমাজকে আলোকিত করতে চায় তাহলে তাকে দর্শনের সহযোগিতা নিতে হবে। মানবিক সমাজ গঠনে এ দর্শন ও দার্শনিকদের বিভিন্ন তত্ত্ব ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে।  

১৯৭৩ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু হয় দর্শন বিভাগের। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ড. এম মিজানুর রহমান। ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রোগ্রামে ১৮ জন শিক্ষার্থী এবং একই শিক্ষাবর্ষে এমএ প্রিলিমিনারি প্রোগ্রামে ৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। পরবর্তীতে বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু হয়। 'প্রজ্ঞা' নামে বিভাগের একটি গবেষণা জার্নাল রয়েছে। রয়েছে ড. এম মিজানুর রহমান স্মৃতি সেমিনার নামে একটি বিভাগীয় পাঠাগার।

বর্তমানে চবির দর্শন বিভাগের অনার্স, মাস্টার্সসহ এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। পাঁচ দশকের পথচলায় প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী এখান থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ২০২৩ সালে বিভাগে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।