ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বংশগত কারণেও হতে পারে স্ট্রোক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
বংশগত কারণেও হতে পারে স্ট্রোক ...

চট্টগ্রাম: অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে হলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধুমপান বর্জন, কোলেস্টেরলমুক্ত খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও হার্টের অসুখের চিকিৎসাসহ দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।

চিকিৎসকদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভাস স্ট্রোকের জন্য দায়ী। বিশেষ করে তেল জাতীয় খাবার, পান, সিগারেট ও তামাকজাতীয় পণ্য বর্জন করা জরুরি।

গরু ও খাসির মাংস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত শাক-সবজির রাখার পাশাপাশি মৌসুমি ফলমূল খেলে সুস্থ থাকা যাবে। পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ২০ মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে।  

চট্টগ্রামে বাড়ছে স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যা। সরকারিভাবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্ট্রোকের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানের নিউরোলজি ওয়ার্ডের তথ্যানুযায়ী, স্ট্রোকের দুইটি ধরন রয়েছে। ইস্কিমিক এবং হেমোরেজিক। সব ধরনের রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ২০২২ সালে ওয়ার্ডে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪ হাজার ৪১৭ জন, চলতি ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ১০৭ জন।  

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগ। রোববার (২৯ অক্টোবর) চমেকের শাহ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।  

এসময় বক্তব্য দেন নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাসানুজ্জামান, মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল সাত্তার, অধ্যাপক ডা. শিউলি মজুমদার, চমেক হাসপাতলের উপ পরিচালক অং সুই প্রু মারমা প্রমুখ।  

এসময় তারা বলেন, আমাদের দেশে স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রোগী অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা থেকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যদিও স্ট্রোকের সঠিক কারণ নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে বেশকিছু শারীরিক অবস্থা স্ট্রোকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং বংশগত কারণেও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হলে, কথা জড়িয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে চোখে কম দেখা, মাথা ঘোরা, একদিক অবশ হয়ে যাওয়া-এ রকম কোনো লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। প্রথমে মাথার সিটি স্ক্যান করতে হবে। তাহলে ধরা পড়বে এটি কোন ধরনের স্ট্রোক। দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে রোগীর ঝুঁকি কমে আসে। স্ট্রোকের রোগীর জন্য হাতে সময় থাকে সাড়ে চার ঘণ্টা। এক মিনিটে ২০ লাখ নিউরো সেল মারা যায়। তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে যদি রোগীকে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি দেওয়া যায়, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমে আসে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।