ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা সেই মামলা প্রত্যাহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
সাবেক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা সেই মামলা প্রত্যাহার

চট্টগ্রাম: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার করেছে বাদী রনি আক্তার তানিয়া।

চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে শহীদুল্লাহ’র মৃত্যু হলে গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন বাদী।

চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বাদি গত ১৬ অক্টোবর আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে ছিলেন।

তিনি আদালতকে মামলাটি চালাতে ইচ্ছুক না বলে জানান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সোমবার (৩০ অক্টোবর) মামলার বিষয়ে আদেশের তারিখ ধার্য করেন। পরে আজ মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে বাদী রনি আক্তার তানিয়ার করা মামলায় গত ৩ অক্টোবর চান্দগাঁও থানা পুলিশ দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছিল। পরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হলে এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।  

আদালাত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক (ডিডি) পদ থেকে অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধের জেরে গত ২৯ আগস্ট ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক ব্যক্তি। তবে শহীদুল্লাহর পরিবারের দাবি, রনি আক্তার তানিয়া নামের কেউ তাদের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন না। তাদের দাবি, হয়রানি করতেই প্রতিপক্ষের লোকজন বাদীকে দিয়ে মিথ্যা মামলাটি করিয়েছিলেন। আদালত মামলার শুনানি শেষে ওই দিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে দেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩  ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩ 
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।