ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১১০ টন গুঁড়োদুধের নিলাম: কেজি ১০১ টাকা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
১১০ টন গুঁড়োদুধের নিলাম: কেজি ১০১ টাকা! প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: আমদানির পর নানা কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস না হওয়া ১১০ টন গুঁড়োদুধের উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতিকেজির দাম পড়েছে ১০১ টাকা।

 

সোমবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। সর্বোচ্চ দর দিয়েছে মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডিং।

নিলামে ৪৫ হাজার কেজি আদা, ৪৩ হাজার ২০০ কেজি কমলাও তোলা হয়। সব মিলে চার শতাধিক নিলামকারী অংশ নেন।  

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. মাহফুজ আলম।  

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ভারত থেকে আসা ১ লাখ ১০ হাজার কেজি স্কিমড মিল্ক পাউডার নিলামে তোলা হয়েছিল। এর সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৩ টাকা ১৪ পয়সা। এ চালানের রিমুভাল লিস্ট আসে গত ৪ জুলাই। ইনভেন্ট্রি হয় ৬ জুলাই।  

এক প্রশ্নের উত্তরে ডেপুটি কমিশনার মো. মাহফুজ আলম বলেন, সাধারণ গুঁড়োদুধ যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ছাড় দেওয়া হয় নিলামের গুঁড়োদুধেও তা করা হবে। যদি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিছু থাকে কিংবা মেয়াদ না থাকে তা হলে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।  

তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঢাকার দেশবাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের নামে আমদানি করা ২১ হাজার ৬০০ কেজি ফ্রেশ অরেঞ্জের (কমলা) সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছিল ৩৬ লাখ ২ হাজার ৩৮৯ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানের আরেক লটে একই পরিমাণ কমলা আছে নিলামে। নিলামে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দর উঠেছে।   

ঢাকার সিকদার ভেনচারের নামে আমদানি করা ইন্দোনেশিয়ার ২২ হাজার ১০০ কেজি আদা নিলামে তোলা হবে। এর সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৮ টাকা। এ চালানটির রিমুভাল লিস্ট আসে গত ৩০ আগস্ট। ইনভেন্ট্রি হয় ১৯ অক্টোবর।  

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স জিএসআর অ্যাগ্রো ইন্টারন্যাশনালের নামে আমদানি করা ২৩ হাজার ৯০৮ কেজি ৫০০ গ্রাম আদা নিলামে উঠছে। এর সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৩ টাকা ৪০ পয়সা।

এ দুইটি লটের দাম উঠে সর্বোচ্চ ৯ লাখ ৭০ হাজার এবং ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা।  

কাস্টম হাউসের নিলাম ও পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম জোরদার করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট ও বন্দর ব্যবহারকারীরা। মূল্যবান ডলার খরচ করে আমদানি পণ্য শুল্ক সংক্রান্ত মামলা, বাজারমূল্য কমে যাওয়া, মিথ্য ঘোষণা, কাস্টমসের নজরদারিসহ নানা কারণে খালাস নেয় না সংশ্লিষ্টরা। এতে বছরের পর বছর একদিকে পচনশীল পণ্যের রেফার কনটেইনারে বন্দরের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখতে হয়। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকে থাকে। আবার পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ বা পচে গেলে পুরো আমদানিমূল্যই জলে যায়।  
  
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।