ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই: ড. অনুপম সেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই: ড. অনুপম সেন ...

চট্টগ্রাম: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় অস্থায়ী শহীদ মিনার চত্বরে জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উদ‍্যোগে স্মরণানুষ্ঠান ও প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী'র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত খ‍্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী অধ‍্যাপক ড. অনুপম সেন।

প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডীন কমিটির সাবেক আহবায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, চবির সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল।
বক্তব‍্য দেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, জেলা সহ সভাপতি ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস‍্য আবদুল মালেক খান, সাহেদ মুরাদ শাকু, অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, জসীম উদ্দিন, নুরুল হুদা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, নাজিম উদ্দিন, মঈনুল আলম খান, পংকজ রায়,ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা গৌরীশংকর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্তী লালা, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম, কামাল উদ্দিন,রাজীব চন্দ, ফারজানা মিলা, কোহিনুর আকতার, আবদুর রহীম, ইসমাঈল হোসেন শুভ, খোরশেদ আলম, মফিজুর রহমান, নয়ন মজুমদার, শিরিন আকতার বিপাশা, ইমাম শাকিব প্রমূখ।

স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডঃ অনুপম সেন বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে  অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা, আত্মদান ও দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর প্রতিটি ক্ষেত্রে  নিরস্ত্র বাঙালিকে জাগ্রত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্বে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এ'দেশের বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালির বিজয়ের ঊষালগ্নে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দখলদার বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এদেশীয় রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন‍্য করে দেয়া।  

এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি গণহত্যার অবিলম্বে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন‍্য জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানান।  

প্রধান বক্তা ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের ঘাতক ও মানবতাবিরোধী জামাত-মৌলবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।