ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অর্থ নেই, তবুও বুকভরা দেশপ্রেম তাদের

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
অর্থ নেই, তবুও বুকভরা দেশপ্রেম তাদের

চট্টগ্রাম: কেউ করেন সবজি বিক্রি, কেউ রাজ মিস্ত্রি, আবার কেউ বা সংসার চালান মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করে। নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলোর পেশায় ভিন্নতা থাকলেও মননে কেবলই তাদের দেশপ্রেম।

তাইতো বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরেছেন নিজেদের মতো করে।  

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে সামনে দেখা মিলে তাদের তৈরি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতীকী ভাস্কর্যের।

একটি রিক্সায় করে ভাস্কর্যটি নিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে ছুটে চলছেন তারা।  

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিনব এই প্রদর্শনীর মূল উদ্যেক্তা ৪ জন। এর মধ্যে মো. জাকির হোসেন রাজু পেশায় সবজি বিক্রেতা। শাহ পরাণ করেন রাজ মিস্ত্রির কাজ। আলমগীর মোবাইল সার্ভিসিংয়ের করেন আরও চায়ের দোকানী মুবিন। তারা নগরের চকবাজার থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বগারবিল এলাকায় বসবাস করেন। ১৬ ডিসেম্বর ছুটির দিন থাকায় বিজয় দিবসটা ভিন্নভাবে পালনের উদ্যোগ নেন।
এ ভিন্ন আয়োজনের এক সদস্য আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরা নিজেদের মতো বিজয় দিবস পালন করতে চেয়েছি। শুক্রবার রাতে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী অর্থ দিয়ে প্রতীকী অস্ত্র ও মাটি সংগ্রহ করেছি। সারারাত নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না। নিজে দৈনিক কাজ করে, যা আয় হয়, তা নিয়ে সংসার চলে। কেউ পাচঁশত টাকা আবার কেউ তিনশত টাকা দিয়েছে। রিয়াজউদ্দীন বাজার থেকে প্রতীকী অস্ত্র কিনেছি।  

সবজি বিক্রেতা মো. জাকির হোসেন রাজু বাংলানিউজকে জানান, বিজয় দিবসের দিনে তরকারি বিক্রি না করে অন্যরকম করে বিজয় দিবস পালন করার চেষ্টা ছিল আমাদের।  আমরা তো তেমন পড়ালেখা করেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা শুনেছি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও নতুন প্রজন্ম  মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জানে না। আজকের এই প্রতীকী মুক্তিযোদ্ধা সাজানোর মধ্যে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে চাই।

তাদের এই প্রদর্শনী দৃষ্টি কেড়েছে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের ।  

ইমরান হোসেন নামে দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, দিন দিন আমাদের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের অভিনব এই প্রদর্শনী নতুন প্রজন্মের কাছে আগ্রহ সৃষ্টি করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।