ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন লঙ্ঘন করে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।  

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন সমিতির নেতারা।

এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, চবি উপাচার্য অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রাতের আঁধারে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করে উপাচার্য পদে থাকার জন্য নৈতিক সমর্থন হারিয়েছে। তিনি এ পদকে কলঙ্কিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রধান অন্তরায় হলো উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং প্রশাসন। তাদের পদত্যাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমরা শিক্ষক সমাজ বিশ্বাস করি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি চলবে। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ অবধি আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

এসময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, আইন বিভাগে শিক্ষক প্রয়োজন নেই। তবুও উপাচার্য তার নিজের ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহার করে আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড আয়োজন করেছে। কিন্তু নির্বাচন বোর্ডের সদস্য নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রার্থীকে বাছাই করে নিজে গাড়িতে উঠিয়ে অজানা স্থানে বোর্ড পরিচালনা করার জন্য নিয়ে  নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কী হবে? এসব অতিরিক্ত শিক্ষকরা কি আপনাদেরকে পড়াবেন? চবি উপাচার্য ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক।  

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যদের সামলাতে উপাচার্য পুলিশকে ডেকে পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের বোধগম্য নয়। চবি শিক্ষক সমাজ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চায়।
 
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, চবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আযম, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড.  সেকান্দর চৌধুরী, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী, আইন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা  এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক।

কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তনিমা সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অর্ধশতাধিক শিক্ষক এতে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।