ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১২৫ প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১২৫ প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা ...

চট্টগ্রাম: ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।

কেউ যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, কেউ পথসভা-উঠান বৈঠক করে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার আলোচনায় থাকা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ তনয় আওয়ামী লীগের মাহবুব উর রহমান রুহেল নৌকা প্রতীক নিয়ে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ঈগল প্রতীক নিয়ে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় নির্বাচনী গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মাঠে আছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুরুল করিম আবছার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। নৌকা নিয়ে মাঠে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দি বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ। মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের মো. হামিদ উল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান।  

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। প্রতিদ্বন্দিতা চলছে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা (নৌকা)  ও স্বতন্ত্র ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর (ঈগল) মধ্যে। অন্য প্রার্থীরা হলেন- সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, জাসদের নুরুল আকতার, জাপার এমএ ছালাম, ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্লাহ খান, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুর রহিম, এনপিপির মো. মোকতার আজাদ খান।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম আল মামুন, লাঙ্গল প্রতীকে জাপার মো. দিদারুল কবির, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির মো. খোকন চৌধুরী, ঈগল প্রতীকে মো. ইমরান, ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোজাম্মেল হোসেন ও টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আকতার হোসেন প্রচারণা চালাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। প্রচার-প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহজাহান চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মুক্তার আহমেদ, বিএনএফের আবু মোহাম্মদ সামশুদ্দিন ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের স ম জাফর উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. সফিকুল আলম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে প্রার্থী ৬ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সুপ্রিম পার্টির মো. মোরশেদ আলম, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমেদ রেজা, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা ও ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইকবাল হাসান।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে প্রার্থী ১০ জন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম, বিএনএফের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা, কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, এপিপি মো. কামাল পাশা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুল নবী।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে প্রার্থী ৭ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির সানজিদ রশিদ চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাপের মিটুল দাশগুপ্ত, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সাহা।

চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী, হালিশহর) আসনে প্রার্থী সংখ্যা ৯ জন। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম, জাসদের মো. আনিসুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে ৮ প্রার্থী। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মো. মহিউদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত ও গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ৮ প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম এয়াকুব আলী, জাতীয় পার্টির মো. নুরুচ্ছফা সরকার, ইসলামিক ফ্রন্টের কাজী মো. জসিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সৈয়দ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জিহাদী ও ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ৭ প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমেদ চৌধুরী, সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈনউদ্দিন, জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসাইন।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ৮ প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলামী চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, বিএনএফের মো. গোলাম ইসহাক খান, বিএসপির মো. আইয়ুব, জাতীয় পার্টির আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ, তরিকত ফেডারেশনের মো. আলী ফারুকী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে প্রার্থী ৭ জন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, জাতীয় পার্টির মো. ছালেম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আলী হোসাইন, কল্যাণ পার্টির সোলায়মান কাশেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. হারুণ ও মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১০ প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী আ. লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান, এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মহিউল আলম চৌধুরী, কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শওকত হোসেন চাটগামী।

মহানগরসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ২ হাজার ২২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩ হাজার ৭৪১টি ভোটকক্ষে মোট ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, পুলিশ মাঠে রয়েছে। ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারে, সেজন্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।