ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শহরে বসবাসকারী রাঙ্গুনিয়াবাসীকে ভোট উৎসবে শামিল হবার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর    

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
শহরে বসবাসকারী রাঙ্গুনিয়াবাসীকে ভোট উৎসবে শামিল হবার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর    

চট্টগ্রাম: দল মত নির্বিশেষে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসকারী সকল রাঙ্গুনিয়াবাসীকে আগামী ৭ জানুয়ারি গ্রামে গিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট উৎসবে শামিল হবার আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে নগরের বহদ্দারহাটস্থ আরবি কনভেনশন সেন্টারে রাঙ্গুনিয়া সমিতি-চট্টগ্রাম আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে ভোট একটি উৎসব, সেই উৎসব আমাদের রাঙ্গুনিয়ায়ও তৈরি হয়েছে। ভোটের মাধ্যমে দল সংগঠিত হয়, কর্মীরা চাঙা হয়।

একদিনে ৪০ কিলোমিটার পথ জুড়ে ১৭টা পর্যন্ত ভোটের মিটিং করতে হয়েছে আমাকে। চট্টগ্রাম শহরে বসবাসকারী সকল রাঙ্গুনিয়াবাসী এই ভোট উৎসবে শামিল হবেন, সবাই গ্রামের বাড়ি গিয়ে ঘুরে আসবেন। তিনদিনের ছুটিতে গ্রামে যাবার উপলক্ষও এইটা। গ্রামে গেলে শীতকালে রসের পিঠা পুলি খাবারও সুযোগ আছে।

দল মত নির্বিশেষে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়ায় রাঙ্গুনিয়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আমি আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি, কিন্তু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের দিন হচ্ছে আগামী ৭ তারিখ। সেদিন সবাই মিলে ভোট দিতে যাবেন। আমি ১৫টি বছর সব মানুষের খেদমতে আমার দুয়ার খোলা রেখেছি, আমি এখন আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি, দয়া করে আপনাদের ঘরের দুয়ারটা আমার জন্য খোলা রাখবেন। সবাই নৌকা মার্কায় একটা করে ভোট দিবেন, এটিই প্রত্যাশা রাঙ্গুনিয়াবাসীর কাছে। এসময় উপস্থিত কয়েক সহস্রাধিক রাঙ্গুনিয়াবাসী দু’হাত তুলে সমর্থন জানান।  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় গত ১৫ বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আমি চেষ্ঠা করেছি দল-মত নির্বিশেষে রাঙ্গুনিয়ার মানুষের পাশে থাকার। উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে কোনটা বিএনপি নেতার বাড়ির রাস্তা, কোনটা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির রাস্তা, সেটা কখনো বিবেচনায় আনিনি। আমি ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে, তাদের বাবা-মা’র নামে রাঙ্গুনিয়ায় একটা কলেজ আছে। সেই কলেজেটির ডিগ্রী মানে উন্নীত হয়েছে আমার হাত দিয়ে, সেটার কমিটি করার ক্ষেত্রেও আমি কখনো হস্তক্ষেপ করিনি। তাদের পরিবারের সদস্যরাই সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসছেন।  

তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২৪টি নতুন মসজিদের বিল্ডিং করেছি। রাঙ্গুনিয়াবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে আগেও এমপি-মন্ত্রী ছিল, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ছিল, একটি মসজিদের বিল্ডিং দেখাতে পারবেনা তারা করে দিয়েছে। বলতে পারবে এক লাখ টাকা কিংবা দুই টন জিআর এর চাল দিয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা নেই পাঁচ থেকে দশবার উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। প্রতিটি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। কর্ণফুলিসহ সব নদী-খালের ভাঙনরোধ করা হয়েছে।   

রাঙ্গুনিয়া সমিতি-চট্টগ্রামের সভাপতি শিক্ষানুরাগী খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে আবদুল জব্বার এবং ফারুক হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. শিরিণ আকতার, চুয়েটের ভিসি ড. রফিকুল আলম, চবি অধ্যাপক ড. সেকান্দর হোসেন চৌধুরী, ড. জিন বোধি ভিক্ষু, আবুধাবী কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, ডা. এটিএম রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।