ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সন্দ্বীপে ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করে দেব: শেখ হাসিনা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
সন্দ্বীপে ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করে দেব: শেখ হাসিনা  ...

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাবমেরিন কেবল দিয়ে আমরা সন্দ্বীপকে আলোকিত করেছি। আমি জানি যোগাযোগের অসুবিধা, ওখানে সী-ট্রাক বা ভালো একটি ল্যান্ডিং স্টেশন আমরা তৈরি করে দিব।

যাতে চলাচলের অসুবিধা না হয়, আমরা ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেব।  

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন।  

ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর আমি সন্দ্বীপে ছিলাম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেকদিন থেকে ওইসব এলাকায় আমি রিলিপের কাজ করেছিলাম। এরপর যেদিন আমরা সোলার প্যানেল দিলাম, প্রায় ১০ লক্ষ সোলার প্যানেল আমরা উদ্বোধন করলাম। এবার তো সাবমেরিন কেবল দিয়ে আমরা সন্দ্বীপকে আলোকিত করেছি। আশা করি আগামী ৭ জানুয়ারি আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মিতাকে জয়যুক্ত করবেন।  

এ সময় সন্দ্বীপ এলাকার দুজন নতুন ভোটারের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের একজন সন্দ্বীপ এবি কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আমাদের বিদ্যুৎ দিয়েছেন, বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, একটি মডেল মসজিদ আর জাহাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করি, ওই কলেজে আপনি ৬ তলা ভবনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমাদের একটাই চাওয়া, আমাদের যে নৌ পথের ব্যবস্থা, এই নৌ পথ যেন সড়কপথ হয়। ’

নতুন ভোটারদের মধ্যে অন্যজন হলেন দিঘারপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা কাজল। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা যারা গৃহহীন ছিলাম বা যাদের কোনো আশ্রয় ছিল না, আপনি আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। আমাদের দীপরত্ন মাহফুজুর  রহমান মিতার কাছেও কৃতজ্ঞ। আপনার উদ্যোগে ওনার প্রচেষ্টায় আমরা ৪৩০ পরিবার  আশ্রয় পেয়েছি, যাদের কোনো ঠিকানা ছিল না। ’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চারটা দাবি জানান কাজল। তিনি বলেন, ‘আমাদের দিঘার পার আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। আমাদের ওখানে ৬০০ পরিবার, ওখানে কোন স্কুল নেই। আর একটা হাসপাতালের প্রয়োজন। ওখানে অনেক বাচ্চারা আছে, তাদের শিক্ষা প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েরা আছে, তাদের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন। আমাদের ওখানে যে নারীরা আছে, তাদের অনেকের স্বামী নেই। ওদের পরিবারে কর্মক্ষম কোন লোক নেই। কোন কাজের ব্যবস্থাও নেই। আমরা চাই আমাদের নারীদের জন্য যেন একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। কারণ আমরা কারো করুণার পাত্র হতে চাই না।

প্রতিত্তোরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দ্বীপবাসীসহ সংগঠনের নেতাকর্মী সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। এটাই চাই সন্দীপবাসীর কাছে। আর আশ্রয়হীন, ভূমিহীন, যাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছি এখন আর গৃহহীন নেই। এখন তারা ঘরের মালিক। আর বাচ্চাদের শিক্ষার ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং মেয়েদের কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার, আমরা করে দেব। সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যু দিয়েছি ওখানে, ছোটখাটো ইন্ডাস্ট্রিও হবে ভবিষ্যতে। ’

বক্তব্য শেষে ইঞ্জিনিয়ার মো. মোমেনের সার্বিক নির্দেশনায় আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সন্দ্বীপ অংশে চট্টগ্রাম-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বেদন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনউদ্দিন মিশন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।