ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর জেটিতে আনা যায়নি জাহাজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
বন্দর জেটিতে আনা যায়নি জাহাজ ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, অতি ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে কর্ণফুলী নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় সোমবার (২৭ মে) চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আনা যায়নি বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া একটি জাহাজও। ফলে জাহাজশূন্য ছিল জেটিগুলো।

তবে বন্দর থেকে কনটেইনার ও অপচনশীল পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে যথারীতি।  

বন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখা বলায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ তুলে নেওয়া হয়।

এরপর ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া জেটির বাণিজ্যিক জাহাজগুলো আনতে কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট পাইলট ও টাগবোটগুলো। কিন্তু নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় বন্দর চ্যানেলের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় জাহাজগুলো জেটিতে আনা যায়নি। এমনকি প্রচণ্ড ঢেউসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাইলটরা বাণিজ্যিক জাহাজে ওঠেননি।  

রোববার (২৬ মে) বন্দরের জিসিবি, সিসিটি, এনসিটিসহ বিভিন্ন জেটিতে থাকা ১৯টি জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বন্দর চ্যানেল, জেটি, কিউজিসিসহ সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে। এ সময় জাহাজগুলোকে ডাবল ইঞ্জিন চালু রাখাসহ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।  

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৯টার পর থেকে বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো একে একে জেটিতে আনার শিডিউল রয়েছে।  

চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ফুল টাইডে কর্ণফুলী নদীর চ্যানেল দিয়ে শক্তিশালী টাগবোটের সহায়তায় বন্দরের অভিজ্ঞ পাইলটের তত্ত্বাবধানে বাণিজ্যিক জাহাজ জেটিতে আনা হয়। আবার বন্দর ত্যাগের সময় জাহাজ বহির্নোঙরে একই নিয়মে দিয়ে আসা হয়। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমেছে। ফলে প্রচণ্ড ঢেউ আছড়ে পড়ছে জেটিতে। আবার সাগরও উত্তাল। সব মিলে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় জাহাজ জেটিতে আনা হয়নি। রাতের জোয়ারে চেষ্টা করা হবে। নয়তো মঙ্গলবার সব জাহাজ নিয়ে আসা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।