ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

'দেশের স্বাধীনতার ওপর হামলা করা হয়েছে'

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
'দেশের স্বাধীনতার ওপর হামলা করা হয়েছে'

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র‍্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকরা।  

বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্ত্বরে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্যের ব্যানারে এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক।

এতে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।

মানববন্ধন শেষ দোয়া পরিচালনা করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক।  

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদীন সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম ইসমত আরা হক, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল বশর ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয় সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবীদের ওপরও গুলি চালানো হয়েছে, যারা কি-না পরিবারের প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছিলো। এতে করে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করা হয়েছে।

প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, দেরীতে হলেও আমরা সংহতি জানাতে পেরেছি। চলমান নিপীড়নের প্রতিবাদে সরব হতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের প্রতিবাদ চলমান থাকবে।

এদিকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহিদ মিনারে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে একই দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি করেন প্রায় ১১ শিক্ষক। এতে উপস্থিত ছিলেন, ইংরেজি বিভাগের গোলাম হোসেন হাবীব, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুনমুন নেছা চৌধুরীসহ অন্যরা।

এদিকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) গভীর রাতে চবির দুই শিক্ষকের বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হল উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্য শিক্ষক হলেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। তারা দুজনেই কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হয়রানির বিপক্ষে সরব ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, শিক্ষক সমিতির কাছে মোজাম্মেল হক স্যারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগপত্র এসেছে। শিক্ষকদের বাসায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।