চট্টগ্রাম: দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে এসএমই ও কৃষিখাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। গত ৪ বছরে এসব খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও দেশের অন্যান্য ব্যাংকের সহযোগিতায় বেশ প্রসার লাভ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১০ সালে এসএমই ঋণের টার্গেট ছিল ৩৮ হাজার ৫শ’ ৫৮ কোটি টাকা। ওই বছরেই এ টার্গেট ছাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৫শ’ ৭৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।
২০১২ সালে ঋণ দেওয়া হয় ৬৯ হাজার ৭শ’ ৫৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ৭৭ হাজার ১শ’ ৭ কোটি। ২০১৪ সালে টার্গেট রয়েছে ৮৮ হাজার ৭শ’ ৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে আগের চেয়ে নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে।
এতে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলানিউজের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কৃষি ঋণ খাতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষি ঋণের টার্গেট ছিল ১৪ হাজার ১শ’ ৩০ কোটি টাকা। এ টার্গেট অতিক্রম করে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬শ’ ৬৭ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫শ’ ৯৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের দক্ষ নেতৃত্ব ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ফলে এসএমই ও কৃষি খাতের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া।
নির্বাহী পরিচালক মাসুম কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জরিপে দেখা গেছে দেশে ২০০০ সালে দারিদ্রের হার ছিল ৪৯%, ২০১০ সালে তা ৩১% নেমে এসেছে। ২০০০ থেকে ২০১০ সাল গত ১০ বছরে দারিদ্রের হার কমেছে প্রায় ২৬%। ’
নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ২০১৫ সালে দারিদ্রের হার নামানোর যে টার্গেট ছিল বাংলাদেশ আগেই তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ’
মাসুম কামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে একজন কৃষক মাত্র ১০ টাকায় হিসাব খুলে ব্যাংকিং সেবার সুযোগ পাচ্ছেন।
কোনো কৃষকের ১ লাখ টাকা লেনদেন হলে তার ক্ষেত্রে ব্যাংকের কোনো চার্জ কর্তন করা হচ্ছে না। এসব সুবিধার ফলে দেশের অসংখ্য লোক ব্যাংকিংয়ের আওতায় এসেছে। এতে দেশের প্রবৃদ্ধি টেকসই’র দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা জানুয়ারি ২২, ২০১৪