ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দু’ বছরে দেড় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত চসিক

আবদুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৪
দু’ বছরে দেড় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত চসিক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কারণে কর্ণফুলী নদীতে দু’বছর ধরে ৭টি ঘাটের ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিবছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা।



ঘাটগুলো হলো- চাক্তাই ঘাট, ফিশারি ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, সদরঘাট, চাক্তাই খালের পাশে পানঘাট হতে গাইজ্জের ঘাট, চাক্তাই গাইজ্জের ঘাটের দক্ষিণে লবণঘাট এবং ফিশারি ঘাটের উত্তরে মধ্যবর্তী নতুন ঘাট।

করপোরেশন সুত্র জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী কর্ণফুলী নদীতে ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও ব্যাংক প্রটেকশন’ প্রকল্পের কাজের প্রয়োজনে সাতটি ঘাটের ইজারা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ(চবক)।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ঘাটগুলোর ইজারা কার্যক্রম স্থগিত রাখে।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘাটগুলো সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়নি। ফলে সাতটি ঘাট ইজারা দিতে না পারায় করপোরেশন দু’বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।

ঘাটগুলো করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় ঘাটগুলো বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে কাজের মেয়াদ শেষে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। এরপর স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কর্ণধার লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহমদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘাটগুলোর ইজারার টাকা দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনহিতকর কাজ করে থাকে করপোরেশন। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘাটগুলো বুঝিয়ে না দেওয়ায় ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না। ইজারা বন্ধ থাকায় প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে করপোরেশন। আমরা তাদেরকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়ার আগে ঘাটগুলো বুঝিয়ে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে তারা। ’

প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল ২২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মালয়েশিয়ান মেরিটাইম অ্যান্ড ড্রেজিং করপোরেশনের চুক্তি হয়। ওই বছরের ১৫ মে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারী। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ দু’ দফা বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু মেয়াদ শেষে কাজ হয় মাত্র ৫০ শতাংশ। লাপাত্তা হয়ে যায় প্রকল্পটির স্থানীয় ঠিকাদারও। ফলে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ঘণ্টা, জানুয়ারী ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad