ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমি কার্যক্রম অটোমেশন সিস্টেমে নিয়ে আসা হবে

ব্যুরো এডিটর, চট্টগ্রাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪
ভূমি কার্যক্রম অটোমেশন সিস্টেমে নিয়ে আসা হবে

চট্টগ্রাম: দেশের মোট আইনি জটিলতার আশি শতাংশ ভূমি সংক্রান্ত উল্লেখ করে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন- স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ভিত্তিতে ভূমি কার্যক্রম ম্যানুয়েল থেকে অটোমেশন সিস্টেমে নিয়ে আসা, ভূমি রেজিস্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনা এবং ভূমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে অঞ্চলভেদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন ও এগ্রিকালচারাল জোন তৈরী করা হবে।

শনিবার চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবর্ধিতরা হলেন- চেম্বারের সাবেক সভাপতি ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, এমএ লতিফ এমপি ও পরিচালক মো. দিদারুল আলম এমপি।   

ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেন- ভূমি, গণপূর্ত ও পানি সম্পদ এই তিন মন্ত্রীর সমন্বয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন করতে হবে।
সার্ক ও আসিয়ান এর মাঝখানে সামুদ্রিক বন্দর নগরী চট্টগ্রাম অবস্থিত।

তিনি বলেন, ছয় লাইন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এক্সপ্রেস টোলওয়ে গড়ে তোলা, চট্টগ্রাম-রেঙ্গুন ফ্লাইট টাচ ডাউন ভিত্তিতে চালু করা এবং গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নামে দু’টি সরকারী হাই স্কুল, স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও ইকো পার্ক স্থাপনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার স্বপ্নের কথা জানান।

এমএ লতিফ বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের হাইওয়েতে আছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে। মিয়ানমারের সাথে লিংক রোড তৈরীর মাধ্যমে মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, ব্যাংককসহ কোরিয়া পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় চট্টগ্রামকে বঞ্চিত করা মানে সমগ্র দেশকে বঞ্চিত করা। সুতরাং চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

মো. দিদারুল আলম তার আওতাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের অবসান ঘটিয়ে শৃংখলা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, শিপব্রেকিংসহ সীতাকুন্ড এলাকায় অবস্থিত সকল শিল্পে উৎপাদন নির্বিঘœ রাখা এবং বন্ধ শিল্প কারখানাসমূহ দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত সমস্যা দূরীকরণ, গ্যাস সংকট নিরসন, ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের চারলেনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, টি অক্শান চট্টগ্রামে থেকে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা, কর্ণফুলী টানেল ও লিংক রোড নির্মাণ এবং পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।