ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শুক্রবার পাঁচ শাখার উদ্বোধন

বন্দর নগরীতে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত সিপি ফুড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪
বন্দর নগরীতে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত সিপি ফুড ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ‘সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত সুস্বাদু খাবার’ শ্লোগান নিয়ে রাজধানী ঢাকায় ১০০টি আউলেটে খাবার সরবরাহ করে সুনাম অর্জনের পর এবার থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী সিপি ফুড যাত্রা শুরু করেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।  

 

আগামী শুক্রবার নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পয়েন্টে আউটলেট উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এ যাত্রা।

তবে এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি আউটলেট খোলা হয়েছিল।  

 

এ চারটি আউটলেটে সুনামের সঙ্গে খাবার সরবরাহ করতে সক্ষম হওয়ার পর ভোক্তাদের চাহিদা বাড়ায় একসঙ্গে পাঁচটি আউটলেট উদ্বোধন করা হচ্ছে।

চাহিদা বিবেচনায় এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়।  

 

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজার মোস্তফা রাসেল আকন্দ।  

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১৯২১ সালে থাইল্যান্ড থেকে সিপি ফুডের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বের ২৫টি দেশে সিপি ফুড সুনাম অর্জন করেছে।  

 

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রবেশের পর ২০০৯ সাল থেকে কোম্পানিটি বাংলাদেশে ব্যবসায় বিস্তার লাভ করে। সিপি ফুডের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিপির মোট ১০৯টি আউটলেট করা হয়। এরমধ্যে ১০০টি রাজধানী ঢাকায়।  

 

তিনি বলেন,‘২০১৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সিপি ফুডের চারটি আউটলেট খোলা হয়। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। চাহিদা থাকায় এবার একসঙ্গে পাঁচটি শাখা খোলা হচ্ছে। ’ 

 

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সিপি গ্রুপের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সেখানে কিভাবে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে খাদ্য পণ্য তৈরি করা হচ্ছে তা দেখানো হয়।  

 

বাংলাদেশ শাখার জিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) থিরাচাই টিচাশপোনমানি জানান, মুরগি তৈরি থেকে শুরু করে মুরগির খাবার পর্যন্ত সিপির নিজস্ব ফার্মে তৈরি হয়ে থাকে। সমস্ত আউটলেট একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সাহায্যে সিপি ফুড প্রস্তুত করা হয়।  

 

তিনি বলেন,‘আমাদের মাদার কোম্পানি থাইল্যান্ডে। তাই থাইল্যান্ডের আদলে সমস্ত খাবার তৈরি করা হয়। যে কারণে ২৫টি দেশেই সিপি ফুডের স্বাদ একই রকমের। ‘ 

 

বাংলাদেশে পুষ্টি সরবরাহের কথা চিন্তা করে সিপি ফুড তৈরি শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সবার মাঝে সিপি ফুড ছড়িয়ে দেয়া। তবে তরুণ, শিশু, টিনেজারও আমদের অন্যতম লক্ষ্য। তাদের মাঝেও এ খাবার দিন দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।  

 

চাকরিজীবীদের মাঝেও সিপি ফুড আকর্ষণীয় করতে চাই। কারণ সময়ের অভাবে খাবার প্রস্তুত করার সময় তাদের থাকে না।  

 

বাংলাদেশের সব জায়গায় প্রোডাক্ট ছড়িয়ে দিতে চান সিপি ফুডের কর্মকর্তারা।  

 

বাংলাদেশের জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয় ও  অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই এ খাবারের বিস্তার ঘটাতে চান উল্লেখ করে থিরাচাই বলেন, গ্রাহকের চাহিদা ও কোয়ালিটি বজায় রেখে আমরা খাবার সরবরাহ করতে বদ্ধ পরিকর।  

 

 

থিরাচাই আরো জানান, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে সিপির আউটলেট খোলা হবে। চট্টগ্রামের পর সিলেটে আউটলেট তৈরির ইচ্ছা রয়েছে।  

 

তিনি বলেন,‘আমরা বিশ্বাস করি সিপি ফুড সবার মাঝে সাড়া ফেলবে। সিপি ফুডে কোনো ফ্রিজিং করা হয় না। এক সপ্তাহের মধ্যেই সকল সিপি ফুড বাজারজাত করা হয়। ’ 

এ সংবাদ সম্মেলনে মিস ভিসানসায়া,ম্যানেজার আর এন্ড ডি, কিউ সি, মতিউর রহমান ম্যানেজার, সেলস সিপি জামালখান আউট লেট ফ্রাঞ্চাইজের স্বত্বাধিকারি একেএম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।  

 

বাংলাদেশে সিপির খাদ্য: 

রেডি টু ইট, রেডি টু কুক আর ফ্রেশ আইটেম এ তিন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে সিপির খাদ্য পাওয়া যায়।  

 

রেডি টু ইট(আরটিই): রেডিমেট সিপি ফুড যে কোনো আউটলেট থেকে ক্রেতারা সরাসরি কিনে খেতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম ফ্রাইড চিকেন, ক্রিসপি ফ্রাইড, চিকেন স্পাইসি, চিকেন মাসালা, চিকেন হট উইং, হট ডগ, চিকেন বল ইন স্টিক ইত্যাদি।  

 

রেডি টু কুক(আরটিসি): ৩০ টি ব্রান্ডের নেম মডার্ন ট্রেড আউটলেট এবং ৩০টি ফুড সার্ভে ডিলারের মাধ্যমে সিপি ফুড আইটেম সরবরাহ করা হয়। ফাইভ স্টার হোটেল এবং নামিদামি বেকারিতেও সিপির খাবরগুলো সরবরাহ করা হয়।  

 

ফ্রেশ আইটেম: সিপির নামিদামি ফ্রেশ আইটেমগুলো ৬০টি ব্রান্ড নেম মডার্ন আউটলেটে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করা হয়। এসব আউটলেটে সিপির বাছাইকৃত ডিমও সরবরাহ করা হয়। তবে চট্টগ্রামে এখনো ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। খুব শিগগির পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।  

 

চট্টগ্রামে নতুন পাঁচ শাখা: 

 

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আগামী শুক্রবার একসঙ্গে পাঁচটি শাখা উদ্বোধন করা ‍হবে।  

 

পয়েন্টগুলো হলোনগরীর ফয়েজলেক জাকির হোসেন রোড, আগ্রাবাদ সাউথল্যান্ড সেন্টার, দেওয়ানহাট, লালদিঘী ও জিইসি মোড় শাখা।  

 

বাংলাদেশ সময়:১৬৪০ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।