ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাত মাস পর দেশে ফিরছে এমভি হোপের দুই নাবিকের লাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪
সাত মাস পর দেশে ফিরছে এমভি হোপের দুই নাবিকের লাশ

চট্টগ্রাম: দুর্ঘটনার প্রায় সাড়ে সাত মাস পর ডিএনএ পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরছে আন্দামান সাগরের ফুকেট উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি হোপের দুই নাবিকের লাশ।

মালয়েশিয়া থেকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফাইটে করে এমভি হোপ জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নেজাম উদ্দিন এবং অয়েলার মো. আলী হোসেনের লাশ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে।



সেখান থেকে দুই নাবিকের মরদেহ চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিপিং কম্পানির কর্মকর্তারা।

এমভি হোপ জাহাজের ইন্সুরেন্স কম্পানির প্রতিনিধি (পিএন্ডআই ক্লাব) ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৫ দিন আগে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়।
সেখানে জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. নেজাম উদ্দিন ও অয়েলার আলী হোসেনের পরিচয় পাওয়া মিলে।

তিনি বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষা শেষে মালয়েশিয়া থেকে থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ’

নাবিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড়করণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে নিহত ও নিখোঁজ নাবিকদের স্বজনদের হাতে তা পৌঁছানো সম্ভব হবে।

গত বছরের ৪ জুলাই আন্দামান সাগরের ফুকেট উপকূলে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল বহনকারী এমভি হোপ। জাহাজ দুর্ঘটনায় ৮ জন নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

এরমধ্যে এখনো চার নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, ইলেকট্রিশিয়ান মো. সাদিম আলী, অয়েলার নাছির উদ্দিন, চিফ কুক নাসির উদ্দিন। এছাড়া ওই সময় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল নয় নাবিককে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।