চট্টগ্রাম: থাইল্যান্ডের উপকূলে আন্দামান সাগরে গত ৪ জুলাই দূর্ঘটনাকবলিত বাংলাদেশী জাহাজ এমভি হোপের দুই নাবিকের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মরদেহগুলো ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়।
পরে বিমানবন্দরে জাহাজ কর্তৃপক্ষ এমভি হোপের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নেজাম উদ্দিন এবং অয়েলার মো. আলী হোসেনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে বিমানবন্দরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এমভি হোপ জাহাজের ইন্সুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধি (পিএন্ডআই ক্লাব) ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জানান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নেজাম উদ্দিনের মরদেহ তার ভাই মো. ইদ্রিসের কাছে এবং অয়েলার মো. আলী হোসেনের মরদেহ তার ছেলে মো. জাকারিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনরা বিকেল ৪টায় মরদেহ দুটি নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এদের মধ্যে আলী হোসেনে বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও নেজাম উদ্দিনের আনোয়ারা উপজেলায়। রাতের মধ্যে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার কথা রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই আন্দামান সাগরের থাইল্যান্ড উপকূলে দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি হোপ। জাহাজের ১৭ নাবিকের মধ্যে নয় নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। দূর্ঘটনার একদিন পর জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মাহবুব মোরশেদ (৪৫) ও প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাইফুদ্দিনের (৫২) লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত ২০ জুলাই মালয়েশিয়ার লংকাউই উপকূলে জেলেরা দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় পুলিশ মরদেহ দুটি মালয়েশিয়ার আলোর সেতার এলাকায় অবস্থিত সুলতানা বাহিয়া হাসপাতালের হিমাগারে রাখে। খবর পেয়ে জাহাজ মালিকপক্ষের প্রতিষ্ঠান জেএস শিপিং লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী উদ্ধার হওয়া কাগজপত্র দেখে আলী হোসেন ও নেজাম উদ্দিনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ পর্যন্ত চার জনের লাশের হদিস মিললেও নিখোঁজ রয়েছেন আরো চার নাবিক। নিখোঁজরা হলেন- ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, ইলেকট্রিশিয়ান মো. সাদিম আলী, অয়েলার নাছির উদ্দিন, চিফ কুক নাসির উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৪