চট্টগ্রাম: মা, ছেলেমেয়েসহ তিনজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় সমন জারির পরও হাজির না হওয়ায় চার সাক্ষীর প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
চার সাক্ষী হলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা.প্রদীপ কুমার নাথ, একই বিভাগের প্রভাষক ডা.আব্দুর রউফ, চমেকের প্যাথলজি বিভাগের প্যাথলজিস্ট ডা.মাহে শায়েস্তা মোশাররাত এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ ডা.মো.মাহমুদ হাসান।
আজ (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান সাক্ষীরা হাজিরা না হওয়ায় তাদের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট অব উইটনেস) জারি করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষীরা আদালতের সমন অনুযায়ী সাক্ষ্য দিতে আসেননি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দু’দফা সমন জারির পরও চার চিকিৎসক আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য সমন জারি করেন। এরপর বুধবার ধার্য তারিখেও তারা হাজির না হওয়ায় আদালত সাক্ষীর প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৪ জনের মধ্যে বাদিসহ ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেলে নগরের খতিবের হাট এলাকার মা-মনি ভিলা নামের ভবনের পঞ্চম তলায় খুন হন ডলি আক্তার (৩০), তার ছেলে আলভী (১০) ও মেয়ে আদিবা পায়েল (৬)।
নিহত ডলি আক্তারের স্বামী আনোয়ার হোসেন আরব আমিরাত প্রবাসী। ঘটনার দুই দিন পর হত্যার অভিযোগে গৃহ শিক্ষক তারেক চৌধুরীকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সোলায়মান তারেককে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৩ এপ্রিল আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪