চট্টগ্রাম: চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালতে এস এ গ্রুপের কর্ণধার শাহাবউদ্দিন আলম ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলমের বিচার শুরু হয়েছে। আদালত শাহাবউদ্দিন দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এস এ গ্রুপের সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শাহাবউদ্দিন আলম এবং একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলম বিচারের মুখোমুখি হলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ৭৫ কোটি টাকার চেক প্রতারণার তিনটি মামলায় শাহাবউদ্দিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এসময় হাজির না থাকায় শাহাবউদ্দিন দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এছাড়া আদালত আগামী ২৪ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন বলেও পিপি জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর আগ্রাবাদ ফিনলে হাউসের ঠিকানায় এস এ গ্রুপের সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের নামে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়। এসব ঋণ পরিশোধের জন্য সামান্নাজের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালের ২১ মে অগ্রণী ব্যাংককে তিনটি পৃথক চেক প্রদান করা হয়।
এর মধ্যে কমার্স ব্যাংকের অনুকূলে চার কোটি ৫০ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ও ২০ কোটি ৪৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার দু’টি এবং ঢাকা ব্যাংকের অনুকূলে ৪৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করা হয়।
যেদিন চেক দেয়া হয় ওইদিনই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষ থেকে সেগুলোর বিপরীতে টাকা গ্রহণ করতে গেলে ‘অপর্যাপ্ত তহবিলের’ জন্য চেকগুলো ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জানানো হলেও এবং দু’দফায় লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার পরও তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এরপর ২০১৩ সালের ৪ জুলাই অগ্রণী ব্যাংকের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার সুলতান আহমেদ বাদি হয়ে নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট এর ১৩৮ ও ১৪০ ধারায় মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শাহাবউদ্দিন আলম ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলমকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে আসার পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন মহানগর দায়রা জজ। কিন্তু আসামীরা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ৬ মার্চ আবারও অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মাথায় ১৯ ফেব্রুয়ারি শাহাবউদ্দিন দম্পতি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। কিন্তু অভিযোগ গঠনের দিন বৃহস্পতিবার আবারও তারা অনুপস্থিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ঘণ্টা, মার্চ ০৬,২০১৪