চট্টগ্রাম: চেক প্রতারণার মামলায় খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্সের (এমইবি গ্রুপ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নগর বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুল আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।
রোববার শামসুল আলম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আদালত অনুপস্থিত থেকে শামসুল আলম আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন।
পিপি বলেন, যেহেতু জামিনযোগ্য ধারা, আদালত আমার বিরোধিতা স্বত্ত্বেও জামিন দিয়েছেন। তবে মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখে তাকে হাজির হতে বলেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের ১২ মার্চ একই ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখার বিপরীতে ৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৮২ টাকার একটি চেক দেয় এমইবি গ্রুপ।
ওই বছরের ২৭ মে চেকের বিপরীতে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ‘অপর্যাপ্ত তহবিলের’ জন্য চেক ডিজঅনার হয়। এরপর ২ জুন তাদের প্রথম দফা নোটিশ দেয় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফা লিগ্যাল নোটিশ দিয়েও ঋণগ্রহীতার সাড়া পায়নি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এতে তাদের দেয়া ঋণটি খেলাপি ঋণে পরিণত হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখার অফিসার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে ২০১৩ সালের ২১ জুলাই আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমইবি গ্রুপকে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া এমইবি গ্রুপের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার (৫৮) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলমকেও (৫৭) অভিযুক্ত করা হয়।
গত ৬ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২৪ মার্চ এ মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া আরও একটি মামলায় শামসুল আলম ও তার স্ত্রী, ভাইসহ মোট ৬জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির চার ঘণ্টার মাথায় শামসুল আলমের আইনজীবী উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ জমা দিলে বিচারক পরোয়ানা স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য শামসুল আলম নগর বিএনপির সহ-সভাপতি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে শামসুল আলম বিএনপিতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ঘণ্টা, মার্চ ০৯,২০১৪