চট্টগ্রাম: সাধারণ গ্যাস সিলিণ্ডারে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে বাজারে বিক্রির অভিযোগে সংঘবদ্ধ চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় বসুন্ধরার ৮টিসহ মোট ১৮টি গ্যাস সিলিণ্ডারও উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়ে গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় পুলিশ।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্যাস সিলিণ্ডার সরবরাহের ঘটনায় পেট্রিগ্যাসের চট্টগ্রাম জেলার বিক্রয় বিভাগের প্রধান মিল্টন দাশ বাদি হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মিল্টন দাশ বাংলানিউজকে জানান, যেসব গ্যাস সিলিণ্ডার আটক করা হয়েছে এর মধ্যে বসুন্ধরার ৮টি এবং পেট্রি গ্যাসের ২টিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিণ্ডার আছে।
বায়েজিদ থানার ওসি সাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামীদামী বেসরকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতি করছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানে যাবার পর ১৮টি সিলিণ্ডার পাওয়া যায়। অথচ প্রতিষ্ঠানটির এসব বিপণণ কোম্পানির সিলিণ্ডার সরবরাহের কোন অনুমতি নেই। এছাড়া সিলিণ্ডারগুলো এসব কোম্পানির নয় বলেও নিশ্চিত হয় পুলিশ।
ওসি জানান, প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। তার কাছ থেকে প্রতারণার বিভিন্ন তথ্য আদায়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে ওসি জানান।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর কর্ণফুলি থানার সিডিএ বাস্তবায়নাধীন কর্ণফুলী আবাসিক এলাকায় পুলিশ এ ধরনের আরও একটি চক্রের সন্ধান পায়। ওই এলাকায় বসুন্ধরাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস জালিয়াতির সময় পুলিশ দুই জনকে হাতে-নাতে আটক করে। এসময় জব্দ করা হয় ৩৩ কেজি ও ১২ কেজি ওজনের ১৯০টি নকল গ্যাস সিলিন্ডার, বেশ কিছু যন্ত্রপাতি এবং এসব গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০,২০১৪