ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিসি হিলে পাখি প্রেমীদের মিলনমেলা

ইফতেখার ফয়সাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৪
ডিসি হিলে পাখি প্রেমীদের মিলনমেলা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বিকাল চারটা। নগরীর ডিসি হিল।

অনেকগুলো অপরিচিত পোষা পাখির খাঁচা নিয়ে বসে আছেন সুদর্শন এক ব্যক্তি। পাখিগুলোকে ঘিরে উৎসাহিত মানুষের ভিড়।
সুদর্শন ব্যক্তিটি একে একে পাখিগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের। সঙ্গে বলছেন, কোন পাখিটা পালন করতে কেমন আবহাওয়া দরকার, কী কী খাবারের প্রয়োজন হয়।

সুদর্শন ব্যক্তিটির নাম ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। চট্টগ্রামের বেসরকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) সহযোগী অধ্যাপক। পেশায় চিকিৎসক ও শিক্ষক হলেও পাখি পোষার শখ দীর্ঘদিনের। তাই ধীরে ধীরে নিজ বাসাকে করে তুলেছেন হরেক রকম বিদেশী পাখির আভাসস্থল। বাংলাদেশে বিদ্যমান দু’টি হাফ সাইডার বাজরিগারের একটির গর্বিত মালিকও তিনি।

নিজের পোষা এসব পাখি নিয়েই শুক্রবার ডিসি হিলে অনুষ্ঠিত বিদেশী পোষা পাখি প্রদর্শনী উৎসব ও বাজরিগার প্রতিযোতায় যোগ দিয়েছিলেন মোস্তফা কামাল।

উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বললেন,‘পাখিপ্রেমীদের উৎসাহিত করতেই প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া। চট্টগ্র্রামে প্রথম বারের মতো এ ধরণের উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যোগ দিতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। ’

শুধু শুধু মোস্তফা কামালই নন। এক্সটিক বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত এ প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হাজির হয়েছিলেন আরো অনেক পাখিপ্রেমী।

উৎসবে পাখি নিয়ে আসা জুবিলী রোডের জি এম মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন,‘ব্যাবসা করি, শখের বশেই পোষা পাখি পালন করি। এটি একদিকে যেমন আমাকে আনন্দ দিচ্ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও লাভমান হচ্ছি। ’

পাখি প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া বিদেশী পাখিগুলোর মধ্যে ছিল, বাজরিগার, লাভ বার্ড, ককাটেল, এলিগেন্ট প্যারেকিট, রেড রাম প্যারাকিট, ডায়মন্ড ডোভ, জাভা, জেব্রা ফিঞ্জ, লংটেল ফিঞ্জ, গ্লুডিয়ান ফিঞ্জ, আউল ফিঞ্জ, বেঙ্গল ফিঞ্জ, কাকাতুয়া, মেকাও, কাকারকি, সান কুনুর, হোয়াইট সিল্কি, অপিনটম প্রভৃতি।

পাখি প্রদর্শনীতে পোষা পাখি দেখতে আসা নগরীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী তাসমিয়াহ লুবনা বাংলানিউজকে বলেন,‘অনেক দিন ধরেই পাখি পোষার শখ। কিন্তু, পরিচর্যার বিষয়টি না জানায় সুবিধা করতে পারিনি। প্রদর্শনীতে এসে অনেক কিছু নতুন করে শিখলাম। ’

নগরীর খুলশী থেকে আসা শাহাদাত আমেরী বাংলানিউজকে বলেন,‘আমি বেশ কিছু দিন আগে দুইটি বাজরিগার কিনেছিলাম। বিক্রেতা বলেছিল, একটা ছেলে অপরটি মেয়ে বাজরিগার। কিন্তু, মেয়ে বাজরিগারটি ডিম না দেওয়ায় হতাশ হয়েছিলাম। মেলায় এসে শিখলাম কিভাবে ছেলে ও মেয়ে বাজরিগার চেনা যায়। ’

মেলার আয়োজনকারী সংগঠন এক্সটিক বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজিজুল হক ফরহাদ বাংলানিউজকে বলেন,‘পোষা পাখি পালনের মধ্য দিয়ে যে আনন্দের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি করা সম্ভব এ ধারণাটিকে ছড়িয়ে দিতেই মূলত এ আয়োজন। উৎসবে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে উৎসব করার চিন্তাভাবনা করবো’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।