ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুকুর লেলিয়ে হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৪
কুকুর লেলিয়ে হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল ছবি: হিমু

চট্টগ্রাম: বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং সাক্ষী না আসায় কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ অবস্থায় আগামী ২২ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।



চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সহীদুল ইসলামের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।   

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, বিচারক ছুটিতে আছেন।
সাক্ষীও আসেননি। সাক্ষী এলে অন্য আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা করতাম।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বাদিসহ দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার তৃতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।  

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।