চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টুল কিপার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে পলাতক চারজন আসামী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার চার আসামীর জামিননামা চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
আসামীরা হলেন, এস এম আজিজুল হক, এএসএম সাইদুর রহমান, রবিউল হাসান এবং আশরাফুল ইসলাম।
গত ১০ মার্চ চার আসামী হাইকোর্ট থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।
দুদকের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের পর পলাতক আসামীর হাইকোর্ট থেকে জামিনের নজির খুব একটা নেই। আমার মনে হচ্ছে, আসামীরা তথ্য গোপন করে জামিন নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের জামিননামায় উল্লেখ আছে, মামলাটি বর্তমানে সিএমএম আদালতে আছে। কিন্তু মামলাটি আছে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে। সেটি অভিযোগ গঠনের জন্য অপেক্ষমান আছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টুলকিপার পদে নিয়োগ পরীায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৬ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো.নাজিম উদ্দিন।
একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ৭ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত ৬ আসামী হলেন, রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ও সাবেক সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া এবং অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া চার প্রার্থী।
উল্লেখ্য গত বছরের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম দরহস্যজনকভাবেদ নিখোঁজ রয়েছেন।
পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন মৃধা ও এনামুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৪