ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গ্রেনেড বিস্ফোরণ মামলা

মুফতি ইজহারসহ ৯ আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৪
মুফতি ইজহারসহ ৯ আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু মুফতি ইজহার

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারসহ ৯ আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।



আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মামলার বাদি খুলশী থানার এস আই মো.নেওয়াজ। সাক্ষ্যে তিনি জানান, গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহতদের কাছ থেকে নেয়া জবানবন্দিতে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুন ইজাহারসহ ৯ জনের নাম পেয়ে তাদের অভিযোগপত্রে আসামী করা হয়েছে।


সাক্ষ্য দেয়ার পর এস আই মো.নেওয়াজকে জেরা করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার। তিনি বাদির কাছে জানতে চান, আহতদের কাছ থেকে জবানবন্দি নেয়ার সময় চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন কিনা ? জবাবে বাদি না-সূচক উত্তর দেন।

আংশিক জেরা শেষে আদালত এ মামলার কার্যক্রম ১৪ মে পর্যন্ত মূলতবি করেন বলে বাংলানিউজকে জানান অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি ইজহারুল ইসলাম ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি। নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।