ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত-শিবির ঠেকাতে গিয়ে নিজেরাই কাঠগড়ায়

রমেন দাশগুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৪
জামায়াত-শিবির ঠেকাতে গিয়ে নিজেরাই কাঠগড়ায় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রাম: সহিংসতার অভিযোগে আটকের পর টাকা নিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৩৬ জনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ১১ পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। নগর পুলিশের অভ্যন্তরীণ এসব তদন্ত নিয়ে কর্মকর্তাদের কেউই মুখ খুলছেন না।



তবে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘আটক বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে তাদের অধিকাংশই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণার পর এবং নির্বাচন পূর্বাপর সহিংসতা জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা প্রতিরোধে দৃশ্যমান ভূমিকা পালন করেছিলেন। সহিংসতার সময় নগরীর কয়েকটি থানায় সাধারণ লোকজনকে আটক করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে যাদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে, অনুসন্ধানে তাদের আদালতে চালান দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ১১ কর্মকর্তা হলেন, কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম, পুলিশ পরিদর্শক (বর্তমানে শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত) সদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক বাবুল চন্দ্র বণিক, পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজ আহম্মেদ, পরিদর্শক নূরুল আবছার ভূঁইয়া, এস আই মোহাম্মদ আলী, এস আই হারুন অর রশিদ, এস আই উৎপল বড়ুয়া, এস আই আব্দুল কাদের এবং এএসআই ফজর আলী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, খুবই স্পর্শকাতর অভিযোগ। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেব।

জানা গেছে, গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অভিযোগের তথ্যসম্বলিত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর ১৮ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগের নথি তদন্তের জন্য পাঠানো হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বরাবরে। আইজি’র দপ্তর থেকে নগর পুলিশের ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সুনিদিষ্ট অভিযোগসহ তদন্তের জন্য সিএমপি কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন পর গত ৬ জানুয়ারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ২ শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হল, নগরীর টেরিবাজারের এশিয়ান ফেব্রিক্সের কর্মচারী মো.নছরুল করিম ওরফে রায়হান (২৯) এবং মো.কামরুল হাসান (২২)। তাদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে আছে। তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৪৩৬ ও ৪২৭ ধারা এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২)/১২ ধারায় দায়ের হওয়া মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন এস আই ইলিয়াস খান।

সংসদ নির্বাচনের দু’দিন পর গত ৭ জানুয়ারি মো.ইয়ামিন (১৮) ও মো.রেজাউল করিম (১৮) নামে দু’জনকে কোতয়ালী থানা পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তাদের গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করা হলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দু’জনকেই গ্রেপ্তারের দিনই আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে কারাগারে আছে। দু’জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় দন্ডবিধির ৩৯৯/৪০২ ধারায় একটি এবং ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ ‍ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শেষে এস আই ইলিয়াস খান ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

সংসদ নির্বাচনের দু’দিন পর গত ৭ জানুয়ারি গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে কোতয়ালী থানা পুলিশ ৫ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাদের ওইদিনই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২, ৩০৭, ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলাটি বর্তমানে কোতয়ালী থানার এস আই মো.কামরুজ্জামান তদন্ত করছেন।

জামায়াত-শিবিরের ৫ কর্মী হল, চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মো.মুজিবুর রহমান (২৭), একই কলেজের একই বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আক্তারুজ্জামান ফিরোজ (২৩), চকবাজারের মেরণ সান স্কুলের শিক্ষক মো.মনিরুল হায়দার (২৬), শিবির কর্মী মোশাররফ হোসেন (২৪) এবং জামায়াত কর্মী মোহাম্মদ নূর ওরফে মামুন (৩৮)।

গত ৭ জানুয়ারি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ মো.শাহিন মিয়া (২০) নামে একজনকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছ। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় দন্ডবিধির ৩৯৯/৪০২ ধারায় একটি এবং ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ ‍ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দু’টি তদন্ত করছেন এস আই ইলিয়াস খান।

২১ জানুয়ারি আরিফ বিন হাবিব (৩৫) এক জামায়াত কর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করা হলেও তাকে ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২, ৩০৭, ৪২৭ ও ৩৪ ধারা এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২) ধারায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন এবং মামলাটি তদন্ত করছেন এস আই ইলিয়াস খান।

গত ১৩ জানুয়ারি কোতয়ালি থানা পুলিশ টহল ডিউটি করার সময় শিবির কর্মী সন্দেহে ৬ জন নিরীহ যুবককে আটক করে টাকাপয়সা নিয়ে ছেড়ে দেয় বেলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৬ জন যুবক হলো, মো.কবির (১৯), মো.আল আমিন ওরফে রাজন (১৮), মো.নোমান (১৮), মো.রুবেল (১৮), মো.বিল্লাল (১৮) এবং মো.রাজিব (১৮)। সন্দেহজনক ঘোরাফেরার অভিযোগে ৬ জনকে আটকের পর সিএমপি অধ্যাদেশের ৮৮ (ডি) ধারায় তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জরিমানার আদেশ দেন।

একইদিন টহল ডিউটি করার সময় কোতয়ালী থানা পুলিশ আরও ৬ জনকে আটক করেন। তাদেরও ৮৮ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে জরিমানা দিয়ে তারা ছাড়া পান। এরা হলেন, নাছির উদ্দিন (৩৫), বশির আহাম্মদ (২৮), পিকলো বড়ুয়া (২৪), মো.সুমন (২৪), মো.শাহজাহান (৪১) এবং মো.দেলোয়ার (২০)।

২০ জানুয়ারি একই অপরাধে আজিজ খান (২৭) নামে একজনকে কোতয়ালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে হাজিরের পর একই প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পান।

১ জানুয়ারি ব্যাটারিচালিক রিকশা চুরির অপরাধে কোতয়ালী থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করে বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এরা হল, বাবুল হোসেন (৫২), মো.শহীদ (২২), মো.রেনু মিয়া (৩৫), মো.শাহজাহান (৪২), জাকির হোসেন (২৬)। অনুসন্ধানে তাদের ছেড়ে দেয়ার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে যান। মামলাটি তদন্ত করছেন এস আই নাজিম উদ্দিন।

সংসদ নির্বাচনের তিনদিন পর ৮ জানুয়ারি শাহনেওয়াজ মাহমুদ শিবলি (২৬) ও আমজাদ আলী (২৫) নামে দুই শিবির কর্মীকে আটক করা হয়। তাদের ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০৭, ৩৫৩, ৪৩৫ ও ৪২৭ ধারায় এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২)/১২ ধারায় কোতয়ালী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে আছে। অথচ এই আসামীদেরও গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলটি এস আই মোহাম্মদ নূর ইসলাম তদন্ত করছেন।

১২ জানুয়ারি কালু প্রকাশ কালাইয়া নামে এক যুবদল কর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি সরকারী কাজে বাধাদানের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০৭, ৩৫৩, ৪৩৫ ও ৪২৭ ধারায় এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২)/১২ ধারায় কোতয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। মামলাটি এস আই জহির হোসেন তদন্ত করছেন।

গত ১১ জানুয়ারি মোটর সাইকেলযোগে সশস্ত্র ছিনতাইকালে কোতয়ালী থানা পুলিশ তানভির আহম্মেদ প্রকাশ সায়মুন (২৩), মো.মকবুল হোসেন (২৭) এবং নূর মোহাম্মদকে (২০) গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৩ ধারায় একটি এবং দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ও ৪৩৬ ধারায় ও বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারা এবং ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় দু’জনই বর্তমানে কারাগারে আছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই মো.কামরুজ্জামান।

সর্বশেষ অভিযোগ করা হয়েছে, পাঁচলাইশ থানার জিডিমূলে (নম্বর-১৪০৬, তারিখ-২৯-৯-২০১৪) জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সিকু স্টিল মিলস লিমিটেড, মাদামবিবিরহাট, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম নামে একজনকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৪০৬ নম্বর জিডিতে বাবুল দাশ (২৪), পিতা-গোবিন্দ দাশ, দক্ষিণ সোনাইছড়ি, বার আউলিয়া, সীতাকুণ্ড নামে এক যুবকের মৃত্যুসংবাদ লিপিবদ্ধ আছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৩৬ জনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগের অধিকাংশই কোতয়ালী থানার। ‍অথচ পরিদর্শক নূরুল আবছার ভূঁইয়া, আজিজ আহম্মদ, বাবুল চন্দ্র বণিক ও প্রদীপ কুমার দাশ কখনোই পরিদর্শক হিসেবে কোতয়ালী থানায় কর্মরত ছিলেন না।

কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম, সেকেন্ড অফিসার এস আই উৎপল কান্তি বড়ুয়া, এস আই হারুন অর রশিদ ও এস আই আব্দুল কাদেরর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও তারা কেউই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন।

এছাড়া কোতয়ালী থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) সদীপ কুমার দাশ ২০১৩ সালের ১৭ মে থেকে শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত আছেন। অথচ তাকে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সংঘটিত ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত এস আই মোহাম্মদ আলী ২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি কোতয়ালী থানা থেকে নগর গোয়েন্দা বিভাগে বদলি হয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত এএসআই ফজর বিশ্বাস নামে কোন পুলিশ কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা কিংবা সিএমপিতে কর্মরত ছিলনা বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, আটক বাণিজ্য যে একেবারেই হয়নি তা নয়। তবে মাঠে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা মোকাবেলায় আমরা যেসব পুলিশ সদস্যের উপর আস্থা রাখতে পারি, তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সিএমপি’র জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। অবস্থা এমন হয়েছে, যাদের জামায়াত-শিবিরবিরোধী ভাবমূর্তি আছে তারাই এখন তাদের শেল্টার দেয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।