চট্টগ্রাম: কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমু হত্যা মামলায় সাক্ষী এহতেশামুল হক কাশফিকে মঙ্গলবার আরও দু’জন আসামীর আইনজীবী জেরা করেছেন। বাকি জেরার জন্য আদালত আগামী ৭ মে পরবর্তী সময় নির্ধারণ করেছেন।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সহীদুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাশফি মাদকবিরোধী সংগঠন শিকড়ের সহ-সভাপতি এবং হিমু’র বন্ধু।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, কাশফিকে আসামী শাহ সেলিম টিপুসহ তিনজন আসামীর আইনজীবীরা জেরা শেষ করেছেন। আরও দু’জন আসামীর আইনজীবীর জেরা বাকি আছে। তারা আগামী ধার্য তারিখে জেরা করবেন।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বাদিসহ দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।
গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।
২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯,২০১৪