চট্টগ্রাম: বহুল আলোচিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধাকে বাদ দিয়ে আদালতে দু’টি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের উপ সহকারি পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মশিউর রহমান চৌধুরীর আদালতে অভিযোগপত্র দুটি দাখিল করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারি লোকোমাস্টার এবং কোড ইন্সপেক্টর (গ্রেড-১) পদে নিয়োগের অভিযোগে মৃধাসহ ৩৪ আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দুটি দায়ের হয়েছিল।
এর মধ্যে সহকারি লোকোমাস্টার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের সহকারি পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
দাখিল করা অভিযোগপত্রে সহকারি লোকোমাস্টার পদে মৃধাকে বাদ দিয়ে ৩২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কোড ইনস্পেক্টর (গ্রেড-১) পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
কোড ইনস্পেক্টর (গ্রেড-১) পদে মৃধাকে বাদ দিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রামে মোট ১৪টি মামলা করেছিল দুদক। এর মধ্যে টিকেট ইস্যুয়ার, টুল কিপার, সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্রে মৃধাকে অভিযুক্ত করা হয়।
এছাড়া গুডস সহকারী ও রেকর্ড কিপার পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রে ইউসুফ আলী মৃধাকে বাদ দেয়া হয়।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এসময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ আছেন।
পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক, মৃধা ও এনামুল।
ওই ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে চলে এলে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪
