ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঘাট শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ: আহত ১০

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৪
ঘাট শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ: আহত ১০ ছবি: উজ্জ্বল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী নদীর আনুমাঝির ঘাটে শ্রমিকদের দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০জন শ্রমিক আহত হয়েছে।



সোমবার সকালে এক পক্ষের কাজে অপর পক্ষ বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, মজুরি বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে রোববার থেকে কর্মবিরতে ‍পালন করছে শ্রমিকদের একাংশ।
অন্যদিকে অপর পক্ষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে গেলে কর্মবিরতি পালনকারী শ্রমিকরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০জন শ্রমিক আহত হয়েছে।

সংঘর্ষের জের ধরে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  

৫০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে ঘাট-গুদাম শ্রমিকদের একাংশের কর্মবিরতির কারণে রোববার থেকে কর্ণফুলী নদীর ১২ ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

ঘাট গুদাম শ্রমিক সংগ্রাম ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. ইদরিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এ বছর জানুয়ারিতে ২০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর কথা। কিন্তু গত ১০ মাসেও তা কার্যকর করা হয়নি। তাই এখন ৫০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।

 এদিকে কর্মবিরতি পালনকারী শ্রমিকরা মূল সংগঠনের সদস্য নয় বলে দাবি করেছেন ঘাট-গুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল খালেক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন কিছু শ্রমিক কাজ বন্ধ রেখেছে। কয়েকটি ঘাটে কাজ বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ ঘাটে শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সদরঘাট থানার ওসি বলেন, মূলত শ্রমিক নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ সময়:১০৫৪ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।