ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দু বাংলার আবৃত্তি দিয়ে শেষ প্রমার ২ যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান

বিনোদন করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৪
দু বাংলার আবৃত্তি দিয়ে শেষ প্রমার ২ যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: কলকাতা ও আগরতলা থেকে আগত শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হলো প্রমার ২যুগ পূর্তিতে ৩ দিন ব্যাপি আনন্দযজ্ঞ ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলা।

শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্দঘন এ অনুষ্ঠানে আগরতলার পক্ষ থেকে আবৃত্তিশিল্পী বৈসম্পায়ন চক্রবর্তী প্রমার সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসানকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

এরপর তাকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন কলকাতার প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী সৌরেন চট্টপাধ্যায়।

আলোচনা পর্বের শুরুতে আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান বলেন, প্রমা সবসময় সমাজ, দেশ ও সর্বোপরি মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করেছে।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে যেকোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্ভয়ে ভূমিকা রাখার জন্য প্রমা সবার সহযোগিতা চায়।

শিল্পের চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকারের আন্দোলনে প্রমা সত্য ও আপোষহীন থেকে সবসময় অসাম্প্রদায়িক, শ্রেণীহীন ও শোষনমুক্ত সমাজ ও বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কোলকাতা থেকে আগত আবৃত্তিশিল্পী মলি দেবনাথ, সৌরেণ চট্টপাধ্যায়, আগরতলার আবৃত্তিশিল্পী বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী ও স্মিতা ভট্টাচার্য।

শুভেচ্ছা পর্ব শেষে মঞ্চে একে একে আবৃত্তি করে শোনান ভারত থেকে আগত  শিল্পীরা। স্মিতা ভট্টাচার্য প্রমা ও বাংলাদেশের সাথে থাকতে পেরে নিজের ভালোলাগার কথা ব্যক্ত করে আবৃত্তি করেন শুভ দাশগুপ্তের মনে পড়ে কবিতাটি। এরপর কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা থেকে কিছু খণ্ডচিত্র তুলে ধরেন।

বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী মঞ্চে এসে গুরু বন্দনা দিয়ে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের কবিতা  পড়ে শোনান। তিনি নির্মলেন্দু গুনের আমাকে কি মাল্য দেবে দাও, শক্তিপদ ব্রক্ষচারীর ২১শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে কবিতা পড়ে শোনান। এছাড়া তিনি কমলা ভট্টাচার্য ,ত্রিপুরার কবি হিমাদ্রী দে, মণিষ ঘটক, দীনেশ্বর দাশ, পার্থ বন্দোপাধ্যায় ও সলিল চৌধুরীর কবিতা পড়ে শোনান।

সৌরেণ চট্টপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রকৃতিকে প্রণাম করে কাজী নজরুল ইসলামের নম:নম:নম:কবিতা দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। তারপর তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভবানী প্রসাদ মজুমদার, শুভ দাশগুপ্তের কবিতা পড়ে শোনান। তিনি হাজারিবাগ কালুয়া গালা ইস্কুলের বাজ পড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে জীবন দাও হে, রূপসী বউ সহ বেশকিছু কবিতা ও ছড়া পাঠ করে শোনান।

মলি দেবনাথ তার পরিবেশনা শুরু করেন কবি শক্তি চট্টপাধ্যায়ের মানুষ দেখে ভয় পেয়েছেন কবিতাটি দিয়ে। তিনি কবি কামাল নাসিরের বাংলা আমার ৩য় চোখ, জীবনানন্দ দাশের আমি যদি হতাম,সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ইলশেগুড়ি,সরোজ দত্তের অনুবাদ কবিতা ব্রেখট-এর উপহার আবৃত্তি করেন। সবশেষে তিনি কাজী নজরুল ইসলাম, সুভাস মুখোপাধ্যায়, সামশুর রহমান, নির্মলেন্দু গুণের কবিতার কোলাজ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ বসন্ত কবিতা দিয়ে তার পরিবেশনা শেষ করেন।

মঞ্চে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার তিতাস আবৃত্তি সংসদের সভাপতি মনির হোসেন, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, কংকন দাশ ও বিশ্বজিৎ পাল।

অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন প্রমার সদস্য মনজুর মুন্না, এটিএম সাইফুর রহমান, নাজমুল আলীম সাদেকী সুমন, পার্থ প্রতীম মহাজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রমার আবৃত্তিশিল্পী মোহিত বিশ্বাস এবং তাসলিমা আকতার বৃষ্টি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।