চট্টগ্রাম: মজুরি বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে কর্ণফুলী নদীর ১২টি ঘাটে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। তবে ৪টি ঘাটে কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
ঘাট-গুদাম শ্রমিক সংগ্রাম ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
পঞ্চাশ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধিসহ ৯ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস না পাওয়ায় মঙ্গলবারও শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়নি।
৫০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে ঘাট-গুদাম শ্রমিকদের একাংশের কর্মবিরতির কারণে রোববার থেকে কর্ণফুলী নদীর ১২ ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে সোমবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়। গ্রেফতার করা হয় সংগ্রাম ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইদ্রিস আলীকে।
আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এ বছর জানুয়ারিতে ২০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোর কথা। কিন্তু গত ১০ মাসেও তা কার্যকর করা হয়নি। তাই এখন ৫০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।
এদিকে কর্মবিরতি পালনকারী শ্রমিকরা মূল সংগঠনের সদস্য নয় বলে দাবি করেছেন ঘাট-গুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন কিছু শ্রমিক কাজ বন্ধ রেখেছে। কয়েকটি ঘাটে কাজ বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ ঘাটে শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে আবুল হোসেন বলছেন, সুবিধা বঞ্চিত সব শ্রমিকরাই কর্মবিরতি পালন করছে। সুবিধাভোগি কিছু শ্রমিক নেতা জোর পূর্বক কয়েকটি ঘাটে কাজ করাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৪
